ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কওমি শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সমন্বয় করার উদ্যোগ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৫১ বার পড়া হয়েছে

সরকার কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে দেশের সাধারণ, কারিগরি ও আলিয়া শিক্ষার সমমান ও সমমর্যাদায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো নীতিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া প্রণয়ন করেছে এবং ১৬ নভেম্বর জনমত যাচাইয়ের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

প্রস্তাবিত নীতিমালার লক্ষ্য হলো শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে যোগ্যতার স্বীকৃতি ও সমন্বয়, পূর্ব অর্জিত অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করা। নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত দুটি ধারায় বিভক্ত — আলিয়া মাদরাসা (সরকার স্বীকৃত ও সাধারণ বিষয় সমন্বিত) এবং কওমি মাদরাসা (স্বতন্ত্র ধর্মীয় পাঠ্যক্রমভিত্তিক)।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুর রহমান খান জানান, কওমি শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সংযুক্ত করা সময়ের দাবি। অতীতে শুধুমাত্র দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমান)কে স্বীকৃতি দেওয়া হতো, তবে কার্যকর সংস্কারের জন্য নিচ থেকে উপরের দিকে কাঠামোগত পরিবর্তন অপরিহার্য। সঠিক সংস্কারের মাধ্যমে কওমি শিক্ষাব্যবস্থার সনদগুলো দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় একজন শনাক্ত, সন্ধানদাতাকে পুরস্কৃত করা হবে: ডিএমপি

কওমি শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সমন্বয় করার উদ্যোগ

আপডেট সময় ০৬:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

সরকার কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে দেশের সাধারণ, কারিগরি ও আলিয়া শিক্ষার সমমান ও সমমর্যাদায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো নীতিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া প্রণয়ন করেছে এবং ১৬ নভেম্বর জনমত যাচাইয়ের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

প্রস্তাবিত নীতিমালার লক্ষ্য হলো শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে যোগ্যতার স্বীকৃতি ও সমন্বয়, পূর্ব অর্জিত অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করা। নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত দুটি ধারায় বিভক্ত — আলিয়া মাদরাসা (সরকার স্বীকৃত ও সাধারণ বিষয় সমন্বিত) এবং কওমি মাদরাসা (স্বতন্ত্র ধর্মীয় পাঠ্যক্রমভিত্তিক)।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুর রহমান খান জানান, কওমি শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সংযুক্ত করা সময়ের দাবি। অতীতে শুধুমাত্র দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমান)কে স্বীকৃতি দেওয়া হতো, তবে কার্যকর সংস্কারের জন্য নিচ থেকে উপরের দিকে কাঠামোগত পরিবর্তন অপরিহার্য। সঠিক সংস্কারের মাধ্যমে কওমি শিক্ষাব্যবস্থার সনদগুলো দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হবে।