ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“ঘন ঘন ভূমিকম্প সতর্কবার্তা, রাষ্ট্র ও নাগরিকদের প্রস্তুতি অপরিহার্য”: শায়খ আহমাদুল্লাহ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৫০ বার পড়া হয়েছে

জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ঘন ঘন ভূমিকম্প নিছক ভূতাত্ত্বিক নড়াচড়া নয়, এটি দেশের জন্য গভীর সতর্কবার্তা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বলেন, এমন সময়ে তাওবা ও আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির পাশাপাশি বাস্তবপন্থী প্রস্তুতিও গ্রহণ করা জরুরি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা বসবাস করি এমন এক ভৌগোলিক এলাকায়, যেখানে জনঘনত্ব ও অপরিকল্পিত নগরায়ণ এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঢাকায় ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেলে এক লাখের বেশি ভবন ধসে যেতে পারে।” শায়খ আহমাদুল্লাহ রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতির অপ্রতুলতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। আধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্ধারকর্মীর সংখ্যা নগণ্য, ভারী যন্ত্রপাতি অপর্যাপ্ত এবং অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সক্ষমতা সীমিত।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা শুধুমাত্র দায়ী নয়, নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। “যারা বাড়ি নির্মাণ করি, তাদের উচিত নির্মাণ বিধিমালা মেনে নিরাপদ অবকাঠামো তৈরি করা। বিপর্যয়-পরবর্তী বিলাপের চেয়ে, বিপর্যয়রোধী প্রস্তুতিই বুদ্ধিমান মানুষের কাজ।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ জাতীয় পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “উদ্ধারকাজ, চিকিৎসা, জরুরি আশ্রয়, খাদ্য ও পানীয়ের ব্যবস্থা, ট্রাফিক ও যোগাযোগ—সব কিছু নিয়ে সুস্পষ্ট জাতীয় রোডম্যাপ তৈরি করা জরুরি। এছাড়া খোলা জায়গা সংরক্ষণ, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কার ও নির্মাণসামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণ এখনই প্রয়োজন।”

তিনি আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির গুরুত্বও উল্লেখ করে বলেন, “জাগতিক প্রস্তুতির পাশাপাশি আল্লাহর রহমতের জন্যও তওবা ও দোয়া অপরিহার্য। প্রতিটি দুর্যোগ আমাদের সতর্কবার্তা।”

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন মাসুদের সহযোগী কবির আটক

“ঘন ঘন ভূমিকম্প সতর্কবার্তা, রাষ্ট্র ও নাগরিকদের প্রস্তুতি অপরিহার্য”: শায়খ আহমাদুল্লাহ

আপডেট সময় ০৭:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ঘন ঘন ভূমিকম্প নিছক ভূতাত্ত্বিক নড়াচড়া নয়, এটি দেশের জন্য গভীর সতর্কবার্তা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বলেন, এমন সময়ে তাওবা ও আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির পাশাপাশি বাস্তবপন্থী প্রস্তুতিও গ্রহণ করা জরুরি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা বসবাস করি এমন এক ভৌগোলিক এলাকায়, যেখানে জনঘনত্ব ও অপরিকল্পিত নগরায়ণ এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঢাকায় ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেলে এক লাখের বেশি ভবন ধসে যেতে পারে।” শায়খ আহমাদুল্লাহ রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতির অপ্রতুলতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। আধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্ধারকর্মীর সংখ্যা নগণ্য, ভারী যন্ত্রপাতি অপর্যাপ্ত এবং অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সক্ষমতা সীমিত।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা শুধুমাত্র দায়ী নয়, নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। “যারা বাড়ি নির্মাণ করি, তাদের উচিত নির্মাণ বিধিমালা মেনে নিরাপদ অবকাঠামো তৈরি করা। বিপর্যয়-পরবর্তী বিলাপের চেয়ে, বিপর্যয়রোধী প্রস্তুতিই বুদ্ধিমান মানুষের কাজ।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ জাতীয় পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “উদ্ধারকাজ, চিকিৎসা, জরুরি আশ্রয়, খাদ্য ও পানীয়ের ব্যবস্থা, ট্রাফিক ও যোগাযোগ—সব কিছু নিয়ে সুস্পষ্ট জাতীয় রোডম্যাপ তৈরি করা জরুরি। এছাড়া খোলা জায়গা সংরক্ষণ, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কার ও নির্মাণসামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণ এখনই প্রয়োজন।”

তিনি আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির গুরুত্বও উল্লেখ করে বলেন, “জাগতিক প্রস্তুতির পাশাপাশি আল্লাহর রহমতের জন্যও তওবা ও দোয়া অপরিহার্য। প্রতিটি দুর্যোগ আমাদের সতর্কবার্তা।”