ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা: ‘আইডিয়াল ম্যারেজ ব্যুরো’ প্রতিষ্ঠাতা মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী গ্রেফতার, স্ত্রী তামান্নার আবেগঘন অভিযোগে তোলপাড়

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৫:১৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭৭২ বার পড়া হয়েছে

‘আইডিয়াল ম্যারেজ ব্যুরো’র প্রতিষ্ঠাতা মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমীকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে ঢাকার আটিবাজারে নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মনিরুল হক জানান, কাসেমীর স্ত্রী তামান্না হাতুনের পক্ষে তার মামি আন্না পারভীন বাদী হয়ে গত পরশু একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জ থানায় পুলিশ হেফাজতে আছেন।

এদিকে স্বামীর গ্রেফতারের পর নিজের ফেসবুকে আবেগঘন একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন তামান্না হাতুন। সেখানে তিনি দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা নির্যাতন, মারধর, গর্ভপাত করানো, বাসায় আটকে রাখা এবং চরিত্রগত অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে ধরেন।

তামান্না লেখেন, স্বাভাবিক সংসার চললেও ঝগড়া-বিবাদ ছিল। তিন তালাকের পর কাসেমীর আচরণ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। তিনি অভিযোগ করেন, গর্ভাবস্থায় বিষয়টি জানার পর কাসেমী কৌশলে তাকে আবার নিয়ে গিয়ে চারতলায় আটকে রাখেন, মারধর করেন এবং আশপাশে তার মানসিক অসুস্থতার দোষারোপ ছড়ান।

তিনি আরও লেখেন, “আমি কখনো কল্পনা করিনি আমাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু তার চরিত্র ও ধর্মকে অপব্যবহার করার কারণে বাধ্য হয়েছি। আলেম হোক বা সাধারণ মানুষ—অপরাধ করলে শাস্তি সবার জন্যই সমান।”

ঘটনাটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। মামুনুর রশিদ কাসেমীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো তদন্ত করছে পুলিশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন মাসুদের সহযোগী কবির আটক

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা: ‘আইডিয়াল ম্যারেজ ব্যুরো’ প্রতিষ্ঠাতা মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী গ্রেফতার, স্ত্রী তামান্নার আবেগঘন অভিযোগে তোলপাড়

আপডেট সময় ০৫:১৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

‘আইডিয়াল ম্যারেজ ব্যুরো’র প্রতিষ্ঠাতা মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমীকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে ঢাকার আটিবাজারে নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মনিরুল হক জানান, কাসেমীর স্ত্রী তামান্না হাতুনের পক্ষে তার মামি আন্না পারভীন বাদী হয়ে গত পরশু একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জ থানায় পুলিশ হেফাজতে আছেন।

এদিকে স্বামীর গ্রেফতারের পর নিজের ফেসবুকে আবেগঘন একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন তামান্না হাতুন। সেখানে তিনি দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা নির্যাতন, মারধর, গর্ভপাত করানো, বাসায় আটকে রাখা এবং চরিত্রগত অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে ধরেন।

তামান্না লেখেন, স্বাভাবিক সংসার চললেও ঝগড়া-বিবাদ ছিল। তিন তালাকের পর কাসেমীর আচরণ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। তিনি অভিযোগ করেন, গর্ভাবস্থায় বিষয়টি জানার পর কাসেমী কৌশলে তাকে আবার নিয়ে গিয়ে চারতলায় আটকে রাখেন, মারধর করেন এবং আশপাশে তার মানসিক অসুস্থতার দোষারোপ ছড়ান।

তিনি আরও লেখেন, “আমি কখনো কল্পনা করিনি আমাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু তার চরিত্র ও ধর্মকে অপব্যবহার করার কারণে বাধ্য হয়েছি। আলেম হোক বা সাধারণ মানুষ—অপরাধ করলে শাস্তি সবার জন্যই সমান।”

ঘটনাটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। মামুনুর রশিদ কাসেমীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো তদন্ত করছে পুলিশ।