দুই দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হলেও নতুন করে অবনতিও হয়নি। মেডিকেল বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, এবং তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এই তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
দলের অসুস্থ চেয়ারপারসনকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তবে তারা সিসিইউর ভিতরে না গিয়ে বাইরে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, “তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটময়। দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। নয়াপল্টনের মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে আমরা সকলেই তাঁর সুস্থতা কামনা করেছি।”
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন, “ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই, তেমন কোনো উন্নতি নেই। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিদিন মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে চিকিৎসার পরিবর্তন করছে।”
চিকিৎসা সংক্রান্ত পদক্ষেপ হিসেবে গুলশানের বাসা থেকে প্রতিদিন খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে, এবং ছোট পুত্রবধূ সৈয়দা শর্মিলা রহমান, গৃহপরিচারিকা ফাতেমা ও স্টাফ রূপা আক্তার তার পাশে রয়েছেন। বয়সজনিত কারণে নিউমোনিয়া থেকে সুস্থ হতে সময় লাগছে। মেডিকেল বোর্ডে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন।
প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি না রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ড. ইউনূসের মানবিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


























