ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকের শিক্ষকদের কর্মবিরতি, অভিভাবকরাই নিলেন সন্তানদের পরীক্ষা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান কর্মসূচির ফলে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ৩১৪টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক সংকটের ফলে অভিভাবকরা নিজেরাই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতির জন্যই কেন্দ্রগুলোতে এ ধরনের চিত্র দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনকালে এ চিত্র দেখা যায়। এর আগে গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) ৩১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ২৩টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। অন্য বিদ্যালয়গুলোতে কোনো ধরনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

জানা গেছে, বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নানা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। তাই দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সংকট। যার ফলে উপস্থিত অল্প কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে প্রশ্নপত্র বিতরণ ও খাতা সংগ্রহের কাজও করেছেন অভিভাবকবৃন্দ।

বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকদের কর্মবিরতি শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় অভিভাবকরা। এ কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আহ্বানে তারা নিজেরাই পরীক্ষার দায়িত্ব নিতে বাধ্য হন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফিরোজ খান বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো অযৌক্তিক নয়। সরকারের উচিত একটি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। এভাবে চললে সংকট বাড়বে। আজ অধিকাংশ শিক্ষক দায়িত্ব পালনে বিরত ছিলেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা নিতে হয়েছে। দু’একজন সহকারী শিক্ষকের সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষকরা একাই সকল দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে অভিভাবকদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি সত্য নয়। পরীক্ষা শুরুর দিকে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও শেষে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।’

গতকালের প্রায় আশিভাগ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে না পারার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনের সমাপ্তি হলে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে এসব বিষয় জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি। ‘সংকট সমাধানে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন’ বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সির আসনে আ.লীগের ২০০ নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদানে সমালোচনার ঝড়

প্রাথমিকের শিক্ষকদের কর্মবিরতি, অভিভাবকরাই নিলেন সন্তানদের পরীক্ষা

আপডেট সময় ১২:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান কর্মসূচির ফলে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ৩১৪টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক সংকটের ফলে অভিভাবকরা নিজেরাই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতির জন্যই কেন্দ্রগুলোতে এ ধরনের চিত্র দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনকালে এ চিত্র দেখা যায়। এর আগে গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) ৩১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ২৩টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। অন্য বিদ্যালয়গুলোতে কোনো ধরনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

জানা গেছে, বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নানা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। তাই দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সংকট। যার ফলে উপস্থিত অল্প কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে প্রশ্নপত্র বিতরণ ও খাতা সংগ্রহের কাজও করেছেন অভিভাবকবৃন্দ।

বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকদের কর্মবিরতি শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় অভিভাবকরা। এ কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আহ্বানে তারা নিজেরাই পরীক্ষার দায়িত্ব নিতে বাধ্য হন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফিরোজ খান বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো অযৌক্তিক নয়। সরকারের উচিত একটি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। এভাবে চললে সংকট বাড়বে। আজ অধিকাংশ শিক্ষক দায়িত্ব পালনে বিরত ছিলেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা নিতে হয়েছে। দু’একজন সহকারী শিক্ষকের সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষকরা একাই সকল দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে অভিভাবকদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি সত্য নয়। পরীক্ষা শুরুর দিকে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও শেষে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।’

গতকালের প্রায় আশিভাগ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে না পারার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনের সমাপ্তি হলে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে এসব বিষয় জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি। ‘সংকট সমাধানে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন’ বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা।