ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ দগ্ধ ১৫ জন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৫৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৫০ বার পড়া হয়েছে

 

 

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে জেলার ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে রাজধানীর ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া সিংগারা-পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। বাড়িতে যাওয়ার সময় তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করতে ভুলে যান। যার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।

আহতরা হলেন, জয়ধর মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া (৪০), বাতেন মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (১০), আঙ্গুর মিয়ার ছেলে ওয়াসিবুল (১০), তৌহিদ মিয়ার ছেলে সামিউল (৯), মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আল আমিন (৮), এরশাদ মিয়ার ছেলে শুভ (৮), উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে নিরব (১৫), জিয়া রহমানের ছেলে রাহাত (১২), মনসুর মিয়ার ছেলে ফাহিম (১০), রতন মিয়ার ছেলে আমিন (১০), জব্বার মিয়ার ছেলে হেকিম মিয়া (৫৫), আসাদুল্লাহর ছেলে সেরাজুল (১০), খালেক মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), আ. মালেকের ছেলে মোর্শিদ মিয়া (৫৫) ও মৃত মোমতাজ মেম্বারের ছেলে নাছির মিয়া (৪০)।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সূকত্রপাত ।”

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০-৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনুর রশীদ বলেন, আহতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হত্যা করা হতে পারে: ডিবিপ্রধান

ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ দগ্ধ ১৫ জন

আপডেট সময় ১০:৫৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

 

 

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে জেলার ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে রাজধানীর ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া সিংগারা-পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। বাড়িতে যাওয়ার সময় তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করতে ভুলে যান। যার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।

আহতরা হলেন, জয়ধর মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া (৪০), বাতেন মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (১০), আঙ্গুর মিয়ার ছেলে ওয়াসিবুল (১০), তৌহিদ মিয়ার ছেলে সামিউল (৯), মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আল আমিন (৮), এরশাদ মিয়ার ছেলে শুভ (৮), উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে নিরব (১৫), জিয়া রহমানের ছেলে রাহাত (১২), মনসুর মিয়ার ছেলে ফাহিম (১০), রতন মিয়ার ছেলে আমিন (১০), জব্বার মিয়ার ছেলে হেকিম মিয়া (৫৫), আসাদুল্লাহর ছেলে সেরাজুল (১০), খালেক মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), আ. মালেকের ছেলে মোর্শিদ মিয়া (৫৫) ও মৃত মোমতাজ মেম্বারের ছেলে নাছির মিয়া (৪০)।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সূকত্রপাত ।”

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০-৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনুর রশীদ বলেন, আহতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।