ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০০ আসনে জিতলেও জামায়াত জাতীয় সরকার গঠন করবে : ডা. শফিকুর রহমান

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

 

আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২০০ আসনে জয়ী হলেও দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে ৯ ইউরোপীয় দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান।

জামায়াত আমির জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, সব মানুষের নিরাপত্তা, নির্বাচনী ইশতেহার ও নির্বাচন পরবর্তী ১০০ দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন কূটনীতিকরা। জামায়াত তাদের আশ্বস্ত করে, নির্বাচনে জয়ী সব মত পথের মানুষকে নিয়ে ইনক্লুসিভ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) বাংলাদেশ গড়বে।

বিএনপি আগে জানিয়েছে, নির্বাচনে জয়ী হলে জামায়াত বাদে সব দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত কোনো দলকেই বাদ দেবে না। অন্তত আগামী পাঁচটা বছর স্থিতিশীলতা, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি নির্মূলে জাতীয় সরকার প্রয়োজন। নির্বাচিত হলে সেই সরকারটাই গঠন করব। ২০০ আসনেও আমরা যদি বিজয়ী হই, তারপরও জাতীয় সরকার করব ইনশাআল্লাহ।

জামায়াত আমির বলেন, জাতীয় সরকারের অংশ হতে দুর্নীতি না করা এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। সবার জন্য সমান বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না। এই শর্তে যারা একমত, তাদেরকে নিয়ে সরকার গঠনে আগ্রহী জামায়াত।

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের বিষয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে হলে দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে নির্বাচন পেছানোর সুযোগ আছে বলে মনে করি না। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হওয়া দরকার।

রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, যারা নির্বাচনের সময় টুপি পরেন, তসবিহ হাতে ঘোরেন—তারা হয়তো ধর্মের ব্যবহার করেন।

বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ, ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, ফ্রান্সের উপ-রাষ্ট্রদূত ফ্রেদেরিক ইনজা, নেদারল্যান্ডসের উপ-রাষ্ট্রদূত থাইস উডস্ট্রা উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতের পক্ষে ছিলেন দলের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মাহমুদুল ইসলাম।

জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়া অসুস্থতায় আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, প্রার্থনা করি যাতে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন: শেখ হাসিনা

২০০ আসনে জিতলেও জামায়াত জাতীয় সরকার গঠন করবে : ডা. শফিকুর রহমান

আপডেট সময় ০৯:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

 

আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২০০ আসনে জয়ী হলেও দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে ৯ ইউরোপীয় দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান।

জামায়াত আমির জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, সব মানুষের নিরাপত্তা, নির্বাচনী ইশতেহার ও নির্বাচন পরবর্তী ১০০ দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন কূটনীতিকরা। জামায়াত তাদের আশ্বস্ত করে, নির্বাচনে জয়ী সব মত পথের মানুষকে নিয়ে ইনক্লুসিভ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) বাংলাদেশ গড়বে।

বিএনপি আগে জানিয়েছে, নির্বাচনে জয়ী হলে জামায়াত বাদে সব দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত কোনো দলকেই বাদ দেবে না। অন্তত আগামী পাঁচটা বছর স্থিতিশীলতা, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি নির্মূলে জাতীয় সরকার প্রয়োজন। নির্বাচিত হলে সেই সরকারটাই গঠন করব। ২০০ আসনেও আমরা যদি বিজয়ী হই, তারপরও জাতীয় সরকার করব ইনশাআল্লাহ।

জামায়াত আমির বলেন, জাতীয় সরকারের অংশ হতে দুর্নীতি না করা এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। সবার জন্য সমান বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না। এই শর্তে যারা একমত, তাদেরকে নিয়ে সরকার গঠনে আগ্রহী জামায়াত।

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের বিষয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে হলে দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে নির্বাচন পেছানোর সুযোগ আছে বলে মনে করি না। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হওয়া দরকার।

রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, যারা নির্বাচনের সময় টুপি পরেন, তসবিহ হাতে ঘোরেন—তারা হয়তো ধর্মের ব্যবহার করেন।

বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ, ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, ফ্রান্সের উপ-রাষ্ট্রদূত ফ্রেদেরিক ইনজা, নেদারল্যান্ডসের উপ-রাষ্ট্রদূত থাইস উডস্ট্রা উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতের পক্ষে ছিলেন দলের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মাহমুদুল ইসলাম।