ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জাতির সঙ্গে প্রতারণা” — এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:২৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • ৫২৯ বার পড়া হয়েছে

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল হবে বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব মো. আখতার হোসেন। এক টেলিভিশন আলোচনায় এনসিপির পক্ষে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “বিগত ৫০ বছরে দেশের ১৬ কোটি মানুষ প্রকৃত অর্থে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তাই আজ জনগণ একটি গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা করে, যেখানে মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তন প্রতিফলিত হবে।”

তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় ডিসেম্বর হোক বা জুন, সেটি মুখ্য নয়। মুখ্য হলো নির্বাচনের আগে সংস্কার ও বিচারের নিশ্চয়তা। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে সংবিধান, সংসদ কাঠামো, সংরক্ষিত নারী আসন, উচ্চ-নিম্নকক্ষসহ মূল কাঠামোগত বিষয়ের সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন।”

আখতার হোসেন আরও বলেন, “পুরনো কাঠামো ঠিক রেখে শুধু নির্বাচনী আয়োজন করলে গণতন্ত্র ও পরিবর্তনের যে স্বপ্ন মানুষ দেখেছে, তা ভেঙে যাবে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কেবল ভোটের ব্যবস্থাপনা নয়, বরং গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে কার্যকর গণতন্ত্র গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।”

এ সময় তিনি বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান— সবাই যেন নতুন রাষ্ট্র কাঠামো বিষয়ে একমত হয়ে জাতিকে একটি সঠিক পথের দিকে এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

পশু নয়, কোরবানি হোক অহংকার, হিংসা ও অবিচারের”

“সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জাতির সঙ্গে প্রতারণা” — এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন

আপডেট সময় ০৮:২৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল হবে বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব মো. আখতার হোসেন। এক টেলিভিশন আলোচনায় এনসিপির পক্ষে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “বিগত ৫০ বছরে দেশের ১৬ কোটি মানুষ প্রকৃত অর্থে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তাই আজ জনগণ একটি গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা করে, যেখানে মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তন প্রতিফলিত হবে।”

তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় ডিসেম্বর হোক বা জুন, সেটি মুখ্য নয়। মুখ্য হলো নির্বাচনের আগে সংস্কার ও বিচারের নিশ্চয়তা। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে সংবিধান, সংসদ কাঠামো, সংরক্ষিত নারী আসন, উচ্চ-নিম্নকক্ষসহ মূল কাঠামোগত বিষয়ের সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন।”

আখতার হোসেন আরও বলেন, “পুরনো কাঠামো ঠিক রেখে শুধু নির্বাচনী আয়োজন করলে গণতন্ত্র ও পরিবর্তনের যে স্বপ্ন মানুষ দেখেছে, তা ভেঙে যাবে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কেবল ভোটের ব্যবস্থাপনা নয়, বরং গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে কার্যকর গণতন্ত্র গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।”

এ সময় তিনি বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান— সবাই যেন নতুন রাষ্ট্র কাঠামো বিষয়ে একমত হয়ে জাতিকে একটি সঠিক পথের দিকে এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।