লক্ষ্মীপুরের বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাজিবপুর এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা কাউছার আহমেদ মিলন। শুক্রবার বিকেলে রাজিবপুর গ্রামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত কাউছার আহমেদ ছিলেন রাজিবপুর এলাকার মৃত মমিন উল্যার ছেলে। তিনি বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন জামায়াতের ওলামা বিভাগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি এবং স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন।
ঘটনার পেছনের বিবরণ:
নিহতের পরিবার ও স্বজনদের দাবি, গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে একই এলাকার রিয়াজ হোসেন বাবলু ও সোহাগদের সঙ্গে কাউছারের ভাই আলতাফ হোসেন আরজুর মারামারি হয়। এ সময় কাউছারসহ তার পরিবারের চারজন আহত হন। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তারা বাড়ি ফিরে যান।
বিকেলে হঠাৎ কাউছার শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় মারা যান। স্বজনদের অভিযোগ, মারধরের আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
রাজনীতি ঘিরে উত্তেজনা:
ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মীরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রিয়াজ ও তার সহযোগীদের দায়ী করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে।
কাউছারের জানাজায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। জানাজা শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাদের তোপের মুখে ফেলেন, এবং প্রশ্ন তোলেন, “হত্যাকারীরা বিএনপির রাজনীতিতে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না?”
ঘটনার প্রতিবাদে জানাজার পর জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা “হত্যাকারীদের বিচারের দাবি” জানিয়ে মিছিল করেন।
নেতাদের উপস্থিতি:
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন:
- জামায়াত ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী
- বিএনপির জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু
- যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান
বিএনপির প্রতিক্রিয়া:
বিএনপি নেতারা এ ঘটনায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খোঁজার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন। তারা বলেন, এটি স্থানীয় একটি পারিবারিক বিরোধের জেরে সংঘটিত ঘটনা এবং এর সঙ্গে দলীয় রাজনীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
তদন্ত ও দাবি:
নিহতের স্বজন ও জামায়াত নেতারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।