ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের নামাজ কেন্দ্র করে ককটেল হামলায় বিএনপি কর্মী নিহত, শার্শায় উত্তেজনা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৩৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
  • ৫৬২ বার পড়া হয়েছে

যশোরের শার্শার বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় ঈদের নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে ককটেল হামলায় আব্দুল হাই (৫০) নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) রাত ৯টার দিকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুবপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আব্দুল হাই জামতলা মোড়ে আব্দুর রহমানের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ করে দুটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যায়। ককটেলটি হাইয়ের পিঠে বিস্ফোরিত হলে তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ দাবি করেন, ককটেল হামলার নেতৃত্ব দেন স্থানীয় বিএনপি কর্মী আবু সাঈদ। ঈদের সকালে ডুবপাড়া ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ পড়তে আসা কয়েকজনকে ‘ফ্যাসিস্ট দোসর’ বলে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সাঈদসহ কয়েকজন। এতে বাধা দেন আব্দুল হাইসহ অন্যরা। এ ঘটনার জের ধরেই হামলা হয় বলে জানান তিনি।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, “আব্দুল হাই ছিলেন দলের একজন সৎ ও ত্যাগী কর্মী। দুপুরেও তার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিল সাঈদ ও তার সমর্থকরা। রাতে সেই দ্বন্দ্ব রক্তাক্ত পরিণতির দিকে গড়ায়।”

যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারন সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান জানান, ঘটনাটি তদন্তাধীন এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুনিদের ধরতে অভিযান চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানে ফের প্রকাশ্যে ফাঁসি

ঈদের নামাজ কেন্দ্র করে ককটেল হামলায় বিএনপি কর্মী নিহত, শার্শায় উত্তেজনা

আপডেট সময় ১১:৩৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

যশোরের শার্শার বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় ঈদের নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে ককটেল হামলায় আব্দুল হাই (৫০) নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) রাত ৯টার দিকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুবপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আব্দুল হাই জামতলা মোড়ে আব্দুর রহমানের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ করে দুটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যায়। ককটেলটি হাইয়ের পিঠে বিস্ফোরিত হলে তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ দাবি করেন, ককটেল হামলার নেতৃত্ব দেন স্থানীয় বিএনপি কর্মী আবু সাঈদ। ঈদের সকালে ডুবপাড়া ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ পড়তে আসা কয়েকজনকে ‘ফ্যাসিস্ট দোসর’ বলে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সাঈদসহ কয়েকজন। এতে বাধা দেন আব্দুল হাইসহ অন্যরা। এ ঘটনার জের ধরেই হামলা হয় বলে জানান তিনি।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, “আব্দুল হাই ছিলেন দলের একজন সৎ ও ত্যাগী কর্মী। দুপুরেও তার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিল সাঈদ ও তার সমর্থকরা। রাতে সেই দ্বন্দ্ব রক্তাক্ত পরিণতির দিকে গড়ায়।”

যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারন সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান জানান, ঘটনাটি তদন্তাধীন এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুনিদের ধরতে অভিযান চলছে।