রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আনতে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, যাতে অন্যরা দেখতে পারে আসামির সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কিনা।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ১১টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
৫ আগস্ট পরবর্তী মামলাগুলোর তদন্ত নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “দোষীদের পাশাপাশি নিরীহ লোকজনও এসব মামলায় রয়েছে। আসামির সংখ্যা বেশি হওয়ায় তদন্তে দেরি হচ্ছে।” তিনি অভিযোগ করেন, আগে মামলায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে শত শত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হতো। এবারও একইভাবে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০-২৫০ জন বেনামি আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা তদন্তে জটিলতা তৈরি করছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এরই অংশ হিসেবে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মানুষ যেন থানায় এসে হয়রানির শিকার না হয়, তাই অনলাইনে জিডি ও মামলা গ্রহণের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।”
দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুলিশের কেউ যদি মামলা বাণিজ্য বা দুর্নীতিতে জড়িত থাকে, তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে অ্যাটাচ করা হয়েছে। ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে, প্রয়োজনে আরও পাঠানো হবে। কোনো ধরনের কুণ্ঠাবোধ থাকবে না।”
তিনি দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। যদি এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতাম, তাহলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত।”
সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা সত্য কথা লিখুন। জনগণকে সচেতন করুন। আপনারা সহযোগিতা করলে অনেক কিছুই বদলে যাবে।”
এর আগে তিনি গাছা থানা ও সংশ্লিষ্ট ব্যারাক পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম খানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।