পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে উপজেলার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজার এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
রাত ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে নুরুল হক নুর অভিযোগ করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও পটুয়াখালী-৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসান মামুনের অনুসারীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে বকুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়ায় প্রয়াত কর্মী বাদল মেম্বারের স্মরণসভা শেষে ফেরার পথে নুরুল হক নুরের গাড়িবহরের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তার পথরোধ করে হামলা চালায় এবং ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, “সন্ত্রাসীরা গাছ ফেলে, রড, রামদা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। স্থানীয়দের মারধর করে এবং আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়।”
ঘটনার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ভোররাত ৪টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা ডাকবাংলোয় আশ্রয় দেয়। তবে নুরুল হক দাবি করেন, “পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসেও সন্ত্রাসীদের রাস্তা থেকে সরাতে পারেনি।”
অপরদিকে বিএনপি নেতা হাসান মামুন বলেন, “ভিপি নুর সম্প্রতি ঠিকাদারি কাজ নিয়ে জেলা বিএনপির একজন সিনিয়র নেতাকে নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন। এছাড়া তার লোকজন চরবিশ্বাস বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। ঘটনাটি জানার পর আমি নিজেই সেনাবাহিনী ও পুলিশকে উদ্ধারের অনুরোধ জানিয়েছি। আমি গলাচিপায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই।”
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম বলেন, “বিএনপির সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু হাসান মামুনের নেতৃত্বে এই সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। আমরা আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
তিনি আরও জানান, “পুলিশ ও সেনাবাহিনী ভিপিকে গলাচিপা থেকে জেলা শহরে চলে যেতে বলেছে, নিরাপত্তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।”
ঘটনার বিষয়ে গলাচিপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সৈয়দুজ্জামান এবং গলাচিপা থানার ওসি মো. আশাদুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।