ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“ইরানে স্টারলিংক চালু: ইলন মাস্কের ঘোষণায় উত্তেজনার নতুন মাত্রা”

ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছেন, ইরানে তার স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক চালু হয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান হামলা-পাল্টা হামলার উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এই তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ

মাস্ক এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে জানান, বর্তমানে ইরানে প্রায় ১০০টি স্টারলিংক টার্মিনাল সক্রিয় রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এর মাধ্যমে মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রবাহ সচল রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে কাজ করছেন।

১৩ জুন শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েলের হামলার পর ইরানে ইন্টারনেট পরিষেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতিতে স্টারলিংক সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে শুরু করে। ইরানের সাধারণ জনগণ এখন সরকারি নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে অনলাইনে মতপ্রকাশ করতে পারছেন—যা রাজনৈতিক ও সামাজিক আলোচনায় বড় অবদান রাখছে।

ইরান সরকার এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ তাদের আশঙ্কা, স্টারলিংকের মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত হতে পারে। তবে মাস্ক এক্স-এ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, “সংকেত সচল রয়েছে”—অর্থাৎ ইন্টারনেট পরিষেবা বর্তমানে পুরোপুরি কার্যকর।

এর আগেও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া গণবিক্ষোভ চলাকালে ইরান সরকার ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করেছিল। তখন যুক্তরাষ্ট্র ইলন মাস্ককে স্টারলিংক চালুর অনুমতি দেয়, যাতে জনগণ তথ্যপ্রবাহ বজায় রাখতে পারে।

একইভাবে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সময়ও মাস্ক স্টারলিংক বিনামূল্যে সরবরাহ করেছিলেন, যা যুদ্ধকবলিত এলাকায় যোগাযোগ রক্ষা ও আত্মরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্টারলিংক একদিকে ইরানে তথ্যপ্রাপ্তির স্বাধীনতা ও নাগরিক কণ্ঠস্বরকে জোরালো করছে, অন্যদিকে এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিদেশি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে, যা দেশটির সার্বভৌমত্বের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

“ইরানে স্টারলিংক চালু: ইলন মাস্কের ঘোষণায় উত্তেজনার নতুন মাত্রা”

আপডেট সময় ০৬:৫১:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছেন, ইরানে তার স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক চালু হয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান হামলা-পাল্টা হামলার উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এই তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ

মাস্ক এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে জানান, বর্তমানে ইরানে প্রায় ১০০টি স্টারলিংক টার্মিনাল সক্রিয় রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এর মাধ্যমে মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রবাহ সচল রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে কাজ করছেন।

১৩ জুন শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েলের হামলার পর ইরানে ইন্টারনেট পরিষেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতিতে স্টারলিংক সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে শুরু করে। ইরানের সাধারণ জনগণ এখন সরকারি নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে অনলাইনে মতপ্রকাশ করতে পারছেন—যা রাজনৈতিক ও সামাজিক আলোচনায় বড় অবদান রাখছে।

ইরান সরকার এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ তাদের আশঙ্কা, স্টারলিংকের মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত হতে পারে। তবে মাস্ক এক্স-এ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, “সংকেত সচল রয়েছে”—অর্থাৎ ইন্টারনেট পরিষেবা বর্তমানে পুরোপুরি কার্যকর।

এর আগেও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া গণবিক্ষোভ চলাকালে ইরান সরকার ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করেছিল। তখন যুক্তরাষ্ট্র ইলন মাস্ককে স্টারলিংক চালুর অনুমতি দেয়, যাতে জনগণ তথ্যপ্রবাহ বজায় রাখতে পারে।

একইভাবে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সময়ও মাস্ক স্টারলিংক বিনামূল্যে সরবরাহ করেছিলেন, যা যুদ্ধকবলিত এলাকায় যোগাযোগ রক্ষা ও আত্মরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্টারলিংক একদিকে ইরানে তথ্যপ্রাপ্তির স্বাধীনতা ও নাগরিক কণ্ঠস্বরকে জোরালো করছে, অন্যদিকে এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিদেশি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে, যা দেশটির সার্বভৌমত্বের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।