ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জবাব আসছে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে “ভয়ানক অপরাধ” আখ্যা দিয়ে কঠিন প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শনিবার (১৪ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের কঠিন জবাব দেওয়া হবে।

খামেনি বলেন, “ইসরায়েল ভুল করলে ভাববে একবার হামলা করে দায় শেষ করেছে। বরং এ হামলার মধ্য দিয়েই তারা প্রকৃত যুদ্ধ শুরু করেছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এই ঘৃণিত হামলার চূড়ান্ত জবাব দেবে।”

ভাষণের শুরুতেই তিনি সাম্প্রতিক হামলায় নিহত সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিকদের ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, “এটি ইরানের জন্য গভীর শোকের, আবার একই সঙ্গে গর্বের বিষয় যে তাঁরা ইসলাম ও দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন।”

খামেনি আরও বলেন, “ইরানিরা জানে শহীদের সম্মান কীভাবে রক্ষা করতে হয়। এই জাতি ঐক্যবদ্ধ, ঈমানদার ও অপ্রতিরোধ্য। আমাদের ঘাড়ে কেউ চড়তে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সহায়, আমরা কোনো ত্রুটি করব না।”

তিনি জানান, ইরানের সেনাবাহিনী, বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি), বিমান প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটগুলো সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। দেশের শীর্ষ নেতৃত্বর পাশাপাশি জনগণও সশস্ত্র বাহিনীর পাশে আছে বলে জানান তিনি।

খামেনি আরও বলেন, “ইসরায়েল ও তার মিত্ররা যদি মনে করে ইরানকে উসকানি দিয়ে পার পেয়ে যাবে, তাহলে তারা ইতিহাস ভুলে গেছে। শান্তির একমাত্র পথ হলো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও আগ্রাসনের অবসান।”

পার্স টুডের বরাত দিয়ে জানা যায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পরমাণু কর্মকর্তা ছিলেন, যার ফলে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, খামেনির এই ভাষণ পরবর্তী দিনগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জবাব আসছে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি

আপডেট সময় ০৭:২৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে “ভয়ানক অপরাধ” আখ্যা দিয়ে কঠিন প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শনিবার (১৪ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের কঠিন জবাব দেওয়া হবে।

খামেনি বলেন, “ইসরায়েল ভুল করলে ভাববে একবার হামলা করে দায় শেষ করেছে। বরং এ হামলার মধ্য দিয়েই তারা প্রকৃত যুদ্ধ শুরু করেছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এই ঘৃণিত হামলার চূড়ান্ত জবাব দেবে।”

ভাষণের শুরুতেই তিনি সাম্প্রতিক হামলায় নিহত সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিকদের ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, “এটি ইরানের জন্য গভীর শোকের, আবার একই সঙ্গে গর্বের বিষয় যে তাঁরা ইসলাম ও দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন।”

খামেনি আরও বলেন, “ইরানিরা জানে শহীদের সম্মান কীভাবে রক্ষা করতে হয়। এই জাতি ঐক্যবদ্ধ, ঈমানদার ও অপ্রতিরোধ্য। আমাদের ঘাড়ে কেউ চড়তে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সহায়, আমরা কোনো ত্রুটি করব না।”

তিনি জানান, ইরানের সেনাবাহিনী, বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি), বিমান প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটগুলো সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। দেশের শীর্ষ নেতৃত্বর পাশাপাশি জনগণও সশস্ত্র বাহিনীর পাশে আছে বলে জানান তিনি।

খামেনি আরও বলেন, “ইসরায়েল ও তার মিত্ররা যদি মনে করে ইরানকে উসকানি দিয়ে পার পেয়ে যাবে, তাহলে তারা ইতিহাস ভুলে গেছে। শান্তির একমাত্র পথ হলো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও আগ্রাসনের অবসান।”

পার্স টুডের বরাত দিয়ে জানা যায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পরমাণু কর্মকর্তা ছিলেন, যার ফলে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, খামেনির এই ভাষণ পরবর্তী দিনগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে।