ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে এবার সরাসরি চীনের নাম জড়িয়েছে। ইরানের রাজধানী তেহরানে চীনা একটি কার্গো বিমান অবতরণ করার পর থেকেই নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম নিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, বিমানটি আকাশে থাকাকালীনই ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দিয়েছিল, যাতে সেটির গতিপথ রাডারে ধরা না পড়ে। এ ধরনের ‘গোপন মিশন’ কৌশল সাধারণত সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেই গ্রহণ করা হয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যদিও এখনো পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে চীন ও ইরানের দীর্ঘদিনের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এমন সন্দেহ জোরালো হচ্ছে যে, কার্গো বিমানে হয়তো অস্ত্র কিংবা নিষিদ্ধ কোনো সামরিক উপকরণ বহন করা হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মুখে চীন যদি সত্যিই ইরানকে গোপনে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে থাকে, তবে সেটিকে ওয়াশিংটনের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখা হবে। উল্লেখ্য, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছালে চীন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছে।
অন্যদিকে, বিনা উসকানিতে ইসরায়েল “অপারেশন রাইজিং লায়ন” নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করে শুক্রবার গভীর রাতে। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে। এই ঘটনার পরপরই বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান, সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ প্রকাশ্যে ইরানের প্রতি সমর্থন জানায়। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো ইসরায়েলকে কৌশলগত সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে।
বর্তমানে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই উত্তেজনায় চীনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা আগামী দিনে বৈশ্বিক কূটনীতি ও সামরিক ভারসাম্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।