ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ইসরায়েলের হামলা ‘কাপুরুষোচিত’: ইরানের মন্ত্রী

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • ৫১৮ বার পড়া হয়েছে

এবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আইআরআইবি-এর সদর দপ্তরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে ভর্ৎসনা করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। ইরানের সঙ্গে সংঘাতে তারা কোনঠাসা হয়ে পড়ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

সোমবার ইরানের অপর রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল ইরনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাগচি বলেন, “আমাদের জাতীয় সম্প্রচার সংবাদমাধ্যমে হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলের বেপরোয়া মনোভাব আরও একবার প্রকাশিত হয়েছে। মাঠে তারা কোনঠাসা অবস্থায় আছে এবং এ কারণেই তারা মরিয়া হয়ে সংবাদমাধ্যম ভবনের মতো বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে।”

গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর আইআরআইবির অন্তর্ভূক্ত টেলিভিশন চ্যানেল ইরিনে বোমা নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। চ্যানেলটির সংবাদ উপস্থাপক সাহার ইমামি সে সময় সংবাদ পরিবেশন করছিলেন। ঠিক সে সময়ই ইসরালি বোমার আঘাত আসে আইআরআইবি ভবনে। ধুলায় ছেয়ে যায় গোটা স্টুডিও এবং সংবাদ উপস্থাপক সাহার ইমামি স্টুডিও ছেড়ে পালিয়ে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই দৃশ্যের ভিডিও ইতমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এ হামলার আগে তেহরানের যে অঞ্চলে আইআরইবি-এর সদর দপ্তর অবস্থিত, সেকানকার বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছিলেন, “ইরানের শাসকগোষ্ঠীদের প্রোপাগান্ডা এবং উসকানি ছড়ানোর মাউথপিস শিগগিরই হারিয়ে যাবে।”

ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে— অভিযোগ তুলে গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮টি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ)। ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে এ হামালা চালানো হয়েছিল। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামলায় ইরানের অন্তত ১০০টি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহত হয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ প্রথম সারির বেশ কয়েক জন সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এ সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে ‘দ্য রাইজিং লায়ন’। এদিকে ইসরায়েলের অতর্কিত এ হামলার পর শুক্রবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ সেনা অভিযান শুরু করে ইরান। দুই দেশের সংঘাত এখনও অব্যাহত আছে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলের হামলায় গত চার দিনে ইরানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৪৪ জন।

অন্যদিকে ইরানের হামলায় গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ২৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৫৯২ জন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সূত্র : সিএনএন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস ইসরায়েলের ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট, পাল্টা জবাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলা

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ইসরায়েলের হামলা ‘কাপুরুষোচিত’: ইরানের মন্ত্রী

আপডেট সময় ১২:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

এবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আইআরআইবি-এর সদর দপ্তরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে ভর্ৎসনা করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। ইরানের সঙ্গে সংঘাতে তারা কোনঠাসা হয়ে পড়ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

সোমবার ইরানের অপর রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল ইরনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাগচি বলেন, “আমাদের জাতীয় সম্প্রচার সংবাদমাধ্যমে হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলের বেপরোয়া মনোভাব আরও একবার প্রকাশিত হয়েছে। মাঠে তারা কোনঠাসা অবস্থায় আছে এবং এ কারণেই তারা মরিয়া হয়ে সংবাদমাধ্যম ভবনের মতো বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে।”

গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর আইআরআইবির অন্তর্ভূক্ত টেলিভিশন চ্যানেল ইরিনে বোমা নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। চ্যানেলটির সংবাদ উপস্থাপক সাহার ইমামি সে সময় সংবাদ পরিবেশন করছিলেন। ঠিক সে সময়ই ইসরালি বোমার আঘাত আসে আইআরআইবি ভবনে। ধুলায় ছেয়ে যায় গোটা স্টুডিও এবং সংবাদ উপস্থাপক সাহার ইমামি স্টুডিও ছেড়ে পালিয়ে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই দৃশ্যের ভিডিও ইতমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এ হামলার আগে তেহরানের যে অঞ্চলে আইআরইবি-এর সদর দপ্তর অবস্থিত, সেকানকার বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছিলেন, “ইরানের শাসকগোষ্ঠীদের প্রোপাগান্ডা এবং উসকানি ছড়ানোর মাউথপিস শিগগিরই হারিয়ে যাবে।”

ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে— অভিযোগ তুলে গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮টি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ)। ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে এ হামালা চালানো হয়েছিল। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামলায় ইরানের অন্তত ১০০টি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহত হয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ প্রথম সারির বেশ কয়েক জন সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এ সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে ‘দ্য রাইজিং লায়ন’। এদিকে ইসরায়েলের অতর্কিত এ হামলার পর শুক্রবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ সেনা অভিযান শুরু করে ইরান। দুই দেশের সংঘাত এখনও অব্যাহত আছে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলের হামলায় গত চার দিনে ইরানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৪৪ জন।

অন্যদিকে ইরানের হামলায় গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ২৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৫৯২ জন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সূত্র : সিএনএন