ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতে একদিকে যেমন হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে রাজনৈতিক উত্তেজনাও চরমে পৌঁছেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে ইরানে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৫০ জন।
সংঘাত ক্রমেই জটিল হয়ে উঠলেও পরিস্থিতি শান্ত করার পরিবর্তে উসকানিমূলক অবস্থান নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (১৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক পোস্টে কড়া বার্তা দেন। এক পোস্টে তিনি লেখেন, “আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার!” (নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ)।
এর আগে দেওয়া আরেক পোস্টে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে লক্ষ্য করে বলেন,
“আমরা ঠিক জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু সেখানে নিরাপদ—আমরা তাকে এখনই আঘাত করব না।”
ট্রাম্প বলেন, “আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হোক। আমাদের ধৈর্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।”
এর আগে আরেক পোস্টে তিনি দাবি করেন, “ইরানের আকাশসীমা আমাদের নিয়ন্ত্রণে।”
এমন একসময় ট্রাম্পের এই ধরনের মন্তব্য এল, যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি শান্ত করার আহ্বান জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের মন্তব্যগুলো যুদ্ধের সরাসরি হুমকি না দিলেও স্পষ্টতই ইরানকে চাপে রাখার কৌশলের অংশ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব বার্তা দিয়ে মার্কিন প্রশাসন পরোক্ষভাবে ইসরায়েলকেও মনোবল জুগাচ্ছে।