টানা কয়েক দিনের সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—ইসরায়েলের দিকে ৪০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ১ হাজারের বেশি ড্রোন ছুড়েছে ইরান।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইরান প্রায় ৪০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১ হাজার ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে অন্তত ২০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি ইসরায়েলের বেসামরিক এলাকাগুলোতে আঘাত হেনেছে।
এই হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক সদস্য উভয়ই।
এদিকে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “ট্রু প্রমিজ ৩” অভিযানের অংশ হিসেবে ‘সেজিল-২’ নামের দীর্ঘপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “অতি ভারী ও দীর্ঘপাল্লার সেজিল-২ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে ট্রু প্রমিজ ৩-এর দ্বাদশ তরঙ্গের হামলা শুরু হয়েছে।” সেজিল-২ ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি দ্বৈত-পর্যায়ের কঠিন জ্বালানিভিত্তিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার সর্বোচ্চ পাল্লা প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার। এটি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে গভীর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করেছে তেহরান।
তবে সিএনএন জানিয়েছে, সেজিল-২ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ইরানের দাবি তারা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা শুধু দ্বিপাক্ষিক সংঘাত নয়, বরং বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও শক্তিধর পক্ষ যুক্ত হতে পারে।
সূত্র: সিএনএন, আইআরজিসি বিবৃতি।