মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরানের এলিট সামরিক বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। বুধবার (১৮ জুন) রাতে এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় আইআরজিসি। জর্ডানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম রয়্যাল নিউজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইআরজিসি জানায়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চালানো সর্বশেষ হামলায় তারা দীর্ঘ পাল্লার ‘সেজ্জিল’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং এতে ১২টি ইসরায়েলি মিসাইল ধ্বংস হয়েছে। এই অভিযানে দেশটির পুরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ভেঙে ফেলা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইসরায়েলের আকাশ এখন শূন্য। আমাদের মিসাইল ও ড্রোনের জন্য কোনো বাধা আর নেই।” আইআরজিসি আরও জানায়, তাদের স্মার্ট ও নির্ভুল হামলা ইসরায়েলের সামরিক কেন্দ্র, বিমানঘাঁটি ও কৌশলগত প্রতিরক্ষা অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলের প্রতি আমাদের মিসাইল আক্রমণ লক্ষ্যভিত্তিক এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমরা জায়নিস্টদের জন্য নরকের দরজা খুলে দিয়েছি।”
এদিকে ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, ইরানের উন্নত ‘ফাতাহ’ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। আইআরজিসি জানিয়েছে, এই সাফল্য প্রমাণ করে যে তারা ‘অধিকৃত অঞ্চলের আকাশের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় তেলআবিবের আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং একটি পার্কিং এলাকায় আগুন ধরে যায়। তবে ইসরায়েল সরকার এখন পর্যন্ত হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেনি। এতে করে ঠিক কতখানি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
এছাড়া, ইরান সংক্রান্ত আরেকটি আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেছেন, তারা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অবস্থান শনাক্ত করেছেন। তিনি লিখেছেন, “তিনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু, তবে এখনো তাকে হত্যা করা হয়নি, অন্তত এই মুহূর্তে নয়।”