ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন করে সমন্বিত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘোষণা দিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইআরজিসি জানায়, এটি হামলার ১৫তম ধাপ, যা হাইফা ও তেল আবিবে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও প্রতিরক্ষা শিল্প সম্পর্কিত স্থাপনাগুলোর ওপর চালানো হয়েছে। হামলায় একযোগে ছোড়া হয়েছে ১০০টিরও বেশি কমব্যাট ও আত্মঘাতী (সুইসাইড) ড্রোন, পাশাপাশি মধ্য ও দীর্ঘপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এসব হামলার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্র উৎপাদন অবকাঠামো।
আইআরজিসি এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করে বলেছে, “ইসরায়েল যদি তার আগ্রাসন অব্যাহত রাখে, তাহলে আমাদের পাল্টা হামলার মাত্রা আরও বাড়বে। পরবর্তী ধাপে আমরা ইসরায়েলের সামরিক এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের গভীর অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করব।”
অন্যদিকে একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, “আমরা ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছি এবং সেগুলো প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালেও ইরান এক হামলা চালায় ইসরায়েলের বিরসেভা শহরে। ওই হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে সোরোকা মেডিকেল সেন্টার এবং মধ্য ইসরায়েলের একটি বেসামরিক আবাসিক এলাকায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আকাশপথে ইরানের এই ধরনের সংগঠিত ও টানা আক্রমণ ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা, প্রযুক্তি ও কৌশলের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে আত্মঘাতী ড্রোন ও ব্যারেজ আক্রমণের সমন্বয় ইসরাইলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
সূত্র: আল জাজিরা