ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন হামলার জবাবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি, তেল আভিভে আঘাত—মধ্যপ্রাচ্যে উত্তপ্ত প্রতিশোধ যুদ্ধ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ৫৩৫ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর ভয়াবহ বিমান হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ইরান। ভয়ঙ্কর খোররামশহর-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্তত ৪০টি মিসাইল ছুড়ে ইরান আঘাত হানে ইসরায়েলের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে। এর মধ্যে তেল আভিভে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে একটি বহু-মজলা ভবন ধ্বংস হয় এবং অন্তত ৮০ জন আহত হন। ইরান দাবি করেছে, এই হামলায় বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, একটি জৈব গবেষণা কেন্দ্র, লজিস্টিক ঘাঁটি এবং কয়েকটি কমান্ড সেন্টার ছিল মূল লক্ষ্যবস্তু।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামক অভিযানে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র—ফোরদো, নাটাঞ্জ এবং ইসফাহানে বিমান হামলা চালায়। এই অভিযানে ১২৫টি এয়ারক্রাফট ব্যবহার করা হয়, যা ২০০১ সালের পর থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ B-2 বোমারু বিমানের মিশন বলে জানান জেনারেল ড্যান কেইন।

ইরানি হামলার জবাবে ইসরায়েলও চুপ ছিল না। তারা পশ্চিম ইরান, কোম শহর এবং ইয়াজদের একটি দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এই হামলায় ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর (IRGC) অন্তত ৭ জন এবং আরও ২ জন সেনা নিহত হয়েছেন।

এই পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি দ্রুত এক পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে তা হবে বিশাল হুমকি: ইইউ

মার্কিন হামলার জবাবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি, তেল আভিভে আঘাত—মধ্যপ্রাচ্যে উত্তপ্ত প্রতিশোধ যুদ্ধ

আপডেট সময় ০৬:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর ভয়াবহ বিমান হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ইরান। ভয়ঙ্কর খোররামশহর-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্তত ৪০টি মিসাইল ছুড়ে ইরান আঘাত হানে ইসরায়েলের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে। এর মধ্যে তেল আভিভে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে একটি বহু-মজলা ভবন ধ্বংস হয় এবং অন্তত ৮০ জন আহত হন। ইরান দাবি করেছে, এই হামলায় বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, একটি জৈব গবেষণা কেন্দ্র, লজিস্টিক ঘাঁটি এবং কয়েকটি কমান্ড সেন্টার ছিল মূল লক্ষ্যবস্তু।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামক অভিযানে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র—ফোরদো, নাটাঞ্জ এবং ইসফাহানে বিমান হামলা চালায়। এই অভিযানে ১২৫টি এয়ারক্রাফট ব্যবহার করা হয়, যা ২০০১ সালের পর থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ B-2 বোমারু বিমানের মিশন বলে জানান জেনারেল ড্যান কেইন।

ইরানি হামলার জবাবে ইসরায়েলও চুপ ছিল না। তারা পশ্চিম ইরান, কোম শহর এবং ইয়াজদের একটি দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এই হামলায় ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর (IRGC) অন্তত ৭ জন এবং আরও ২ জন সেনা নিহত হয়েছেন।

এই পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি দ্রুত এক পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।