ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরে নেই নিজের নাম, প্রশংসায় ভাসছেন প্রধান উপদেষ্টা

এবার চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস থেকে তিনি প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন। তবে উন্মোচিত ফলকে কোথাও তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। ব্যক্তিগত স্বীকৃতির চেয়ে জনগণের কল্যাণকে প্রাধান্য দেয়ায় এই বিষয়টিকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

এ বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সুবক্তগীন বলেন, ফলকে কারও নাম না লিখতে নির্দেশনা পেয়েছিলাম আমরা। সেভাবেই ফলকটি তৈরি করা হয়েছে। এটা দেশের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি নজিরবিহীন ও প্রশংসনীয় ঘটনা। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নির্দেশনা মতো আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

এর আগে ব্রিজটির উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কালুরঘাট ব্রিজে আমার অনেক স্মৃতি। এই সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দাও উপস্থিত আছেন। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।

নতুন সেতুর কাজ ২০২৯ সালের মধ্যে শেষ করে ২০৩০ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন একটি কালুরঘাট সেতু নির্মাণ। এর নিমার্ণকাজ শুরু হওয়ায় বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী উৎফুল্ল। এখন যে সেতুটি আছে ১৯৩১ সালে সেটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যদি এর মেয়াদকাল ৮০ বছরও ধরা হয়, তবে ২০১১ সালে এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

পাহাড়ে উঠতে গিয়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের শতাব্দী প্রাচীন সোনার গুপ্তধন উদ্ধার

প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরে নেই নিজের নাম, প্রশংসায় ভাসছেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

এবার চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস থেকে তিনি প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন। তবে উন্মোচিত ফলকে কোথাও তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। ব্যক্তিগত স্বীকৃতির চেয়ে জনগণের কল্যাণকে প্রাধান্য দেয়ায় এই বিষয়টিকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

এ বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সুবক্তগীন বলেন, ফলকে কারও নাম না লিখতে নির্দেশনা পেয়েছিলাম আমরা। সেভাবেই ফলকটি তৈরি করা হয়েছে। এটা দেশের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি নজিরবিহীন ও প্রশংসনীয় ঘটনা। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নির্দেশনা মতো আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

এর আগে ব্রিজটির উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কালুরঘাট ব্রিজে আমার অনেক স্মৃতি। এই সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দাও উপস্থিত আছেন। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।

নতুন সেতুর কাজ ২০২৯ সালের মধ্যে শেষ করে ২০৩০ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন একটি কালুরঘাট সেতু নির্মাণ। এর নিমার্ণকাজ শুরু হওয়ায় বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী উৎফুল্ল। এখন যে সেতুটি আছে ১৯৩১ সালে সেটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যদি এর মেয়াদকাল ৮০ বছরও ধরা হয়, তবে ২০১১ সালে এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।