ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে তা হবে বিশাল হুমকি: ইইউ

এবার ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়, তবে তা হবে একটি বিশাল হুমকি—এ কারণে সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি কাজা কালাস। সোমবার ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

কালাস বলেন, ‘মন্ত্রীদের মনোযোগ এখন কূটনৈতিক সমাধানের দিকেই বেশি। পাশাপাশি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের আশঙ্কাও অনেক বেশি—যেহেতু এই যুদ্ধ ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষ করে ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে, তা হবে চরম বিপজ্জনক এবং কারও জন্যই ভালো হবে না।’ তিনি আরও জানান, ইরান যাতে আবার পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু না করে, সেজন্য নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে ইইউ।

কাজা কালাস আরও বলেন, ‘আমরা এখনও জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশনের (জেসিএপিওএ) অংশ। এখানে আমাদের কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমাদের হাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যবস্থা আছে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটে—বিশেষ করে পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে—তাহলে আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করদে পারব। এতে ইরানের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা ইরানি জনগণের জন্য ভালো হবে না। তাই যদি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে এমন কোনো পদক্ষেপ থাকে যেটা তাদের থাকা উচিত নয় তাহলে তা ঠেকাতে আমাদের কাজ করতে হবে।’

তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মূলত কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষেই রয়েছে।তবে কালাস তার বক্তব্যে এই সংঘাতের আরেক পক্ষ—ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের—কোনো কথাই উল্লেখ করেননি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের পরমাণু সক্ষমতা সমূলে ধ্বংস করা হবে — হোয়াইট হাউস

ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে তা হবে বিশাল হুমকি: ইইউ

আপডেট সময় ০৫:১৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

এবার ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়, তবে তা হবে একটি বিশাল হুমকি—এ কারণে সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি কাজা কালাস। সোমবার ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

কালাস বলেন, ‘মন্ত্রীদের মনোযোগ এখন কূটনৈতিক সমাধানের দিকেই বেশি। পাশাপাশি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের আশঙ্কাও অনেক বেশি—যেহেতু এই যুদ্ধ ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষ করে ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে, তা হবে চরম বিপজ্জনক এবং কারও জন্যই ভালো হবে না।’ তিনি আরও জানান, ইরান যাতে আবার পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু না করে, সেজন্য নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে ইইউ।

কাজা কালাস আরও বলেন, ‘আমরা এখনও জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশনের (জেসিএপিওএ) অংশ। এখানে আমাদের কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমাদের হাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যবস্থা আছে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটে—বিশেষ করে পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে—তাহলে আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করদে পারব। এতে ইরানের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা ইরানি জনগণের জন্য ভালো হবে না। তাই যদি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে এমন কোনো পদক্ষেপ থাকে যেটা তাদের থাকা উচিত নয় তাহলে তা ঠেকাতে আমাদের কাজ করতে হবে।’

তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মূলত কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষেই রয়েছে।তবে কালাস তার বক্তব্যে এই সংঘাতের আরেক পক্ষ—ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের—কোনো কথাই উল্লেখ করেননি।