ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে— এমন অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহে দেশটির একটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দখলদার ইসরায়েল। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইরানকে কখনো পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে দেবে না।
শুধু ইরান নয়, অতীতে পাকিস্তানকেও একইভাবে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। তারা ভারতের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলার ছক আঁকে। পাশাপাশি পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু বিজ্ঞানীদের, বিশেষ করে ড. আব্দুল কাদের খানকে লক্ষ্য করে গুপ্তহত্যার পরিকল্পনাও করা হয়। তবে এসব ষড়যন্ত্রে শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের পক্ষ থেকে শেষ মুহূর্তে হামলা পরিকল্পনা থেকে সরে আসার ফলে পাকিস্তান রক্ষা পায় এক ভয়াবহ পরিণতি থেকে। এর ফলে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের পাকিস্তানবিরোধী হামলার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির অন্যতম স্থপতি ড. আব্দুল কাদের খান ১৯৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাকিস্তানকে পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ২০২১ সালে ৮৫ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।
তাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের পরিকল্পিত গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারমাণবিক শক্তি অর্জনে সক্ষম মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর প্রতি ইসরায়েল ও তার মিত্রদের দীর্ঘদিনের অবিশ্বাস ও হস্তক্ষেপমূলক নীতিরই প্রতিফলন এসব ঘটনা।


























