মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে দল সাংগঠনিকভাবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় এবং নিতে দ্বিধা করে না।
রিজভী বলেন, “বিএনপি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পক্ষে আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি এবং আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই দল একটি আদর্শ রাষ্ট্র ও সমাজে বিশ্বাস করে, যেখানে নেতৃত্ব দেবেন দক্ষ, সৎ, মানবিক ও যোগ্য ব্যক্তিরা। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় ছিল, এই মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।”
বর্তমান সমাজে বাড়তে থাকা সামাজিক অপরাধ এবং প্রশাসনিক স্থবিরতার বিষয়ে রিজভী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এ কারণে ‘মব কালচার’-এর মতো অনৈতিক প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। অবৈধ অর্থ ও গোপন অপতৎপরতার মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চলছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “একটি সুবিধাভোগী মহল পরিকল্পিতভাবে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করছে এবং নির্বাচন বিলম্বিত করার একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ।”
দলের ভেতরে অসৎ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিষয়ে রিজভী বলেন, “দলের ভেতর থেকেও যদি কেউ অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে তাকেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার, অব্যাহতি, স্থগিত কিংবা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করে জানান, দলটি আইনের শাসন ও সুশাসনের প্রশ্নে কোনো আপস করে না এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।