ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে মসজিদে খতিবের ওপর হামলা: হামলাকারীর স্বীকারোক্তি, খতিব আপাতত শঙ্কামুক্ত

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • ৬০৭ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুর শহরের আলোচিত প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে খতিবের ওপর সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার বিকেলে তাকে চাঁদপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদের আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মসজিদের খতিব মাওলানা আ ন ম নূরুর রহমান মাদানীকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন থাকলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি আপাতত শঙ্কামুক্ত।

ঘটনার দিন, শুক্রবার (১১ জুলাই), মাওলানা নূর রহমান মাদানী জুমার নামাজে ইমামতি করছিলেন। খুতবার কিছু বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন। জুমার নামাজ শেষে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র ‘চাপাতি’ দিয়ে খতিবের ওপর হামলা চালায় তিনি। এতে মাওলানার মাথায় মারাত্মক জখম হয়। দ্রুত মুসল্লিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান এবং হামলাকারী বিল্লালকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন

চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক শহীদুল্লাহ এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের খান হামলাকারীর জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে বিল্লাল হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয় এবং রাত ৮টায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আসামি বিল্লাল হোসেন চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। শহরের বকুলতলায় বসবাস করেন তিনি এবং পেশায় একজন ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানে ত্রাণ পৌঁছল গাজায়, মানবিক সংকট এখনও কমেনি

চাঁদপুরে মসজিদে খতিবের ওপর হামলা: হামলাকারীর স্বীকারোক্তি, খতিব আপাতত শঙ্কামুক্ত

আপডেট সময় ১০:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

চাঁদপুর শহরের আলোচিত প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে খতিবের ওপর সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার বিকেলে তাকে চাঁদপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদের আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মসজিদের খতিব মাওলানা আ ন ম নূরুর রহমান মাদানীকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন থাকলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি আপাতত শঙ্কামুক্ত।

ঘটনার দিন, শুক্রবার (১১ জুলাই), মাওলানা নূর রহমান মাদানী জুমার নামাজে ইমামতি করছিলেন। খুতবার কিছু বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন। জুমার নামাজ শেষে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র ‘চাপাতি’ দিয়ে খতিবের ওপর হামলা চালায় তিনি। এতে মাওলানার মাথায় মারাত্মক জখম হয়। দ্রুত মুসল্লিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান এবং হামলাকারী বিল্লালকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন

চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক শহীদুল্লাহ এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের খান হামলাকারীর জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে বিল্লাল হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয় এবং রাত ৮টায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আসামি বিল্লাল হোসেন চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। শহরের বকুলতলায় বসবাস করেন তিনি এবং পেশায় একজন ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।