নরসিংদীর মাধবদীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা সারোয়ার তুষারের সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক ছাত্রলীগ সমর্থকের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় এবং পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের দাবি, তারা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সমন্বয়ক।
ভুক্তভোগী রেদোয়ান হাসান রাতুল নরসিংদী সদর উপজেলার পাইকারচর এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয়ভাবে ছাত্রলীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। রবিবার দুপুরে মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাস থেকে নামার পর তাকে আটকে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে অভিযুক্তরা। পরে তার চাচা সিরাজ উদ্দিন ওই টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন।
কিন্তু চাঁদার টাকা নেওয়ার পরও শান্তি মেলেনি। রাতুলকে থানায় সোপর্দ করা হয় এবং পরে পুলিশ তাকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এ ঘটনার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্তরা এনসিপি নেতা সারোয়ার তুষারের সঙ্গে পদযাত্রার পর সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে মাধবদীতে একটি চক্র বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ-সমর্থকদের টার্গেট করে চাঁদাবাজিতে নেমেছে। কারও সঙ্গে কোনো আওয়ামী লীগ নেতার ছবি থাকলেই তাকে দলের লোক দাবি করে টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একজন ছাত্রলীগ সমর্থককে মারধর করে টাকা আদায়ের পর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। ভুক্তভোগীর পরিবার বলছে, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।