ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই আন্দোলনের বিচার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন নয়: জামায়াত আমির

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:২৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • ৫৮২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি একসঙ্গে চলতে হবে। এর মধ্যে বিচার ও সংস্কারের আগে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে তা হবে জাতির জন্য একটি ভয়াবহ বিপর্যয়। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকেও পরিষ্কার বার্তা এসেছে—বিচার না দেখে তারা কোনো নির্বাচন চায় না।”

তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের বিচার চাই, কিন্তু তা যেন প্রতিহিংসার নয়। তারা যেটা প্রাপ্য, সেটাই যেন পায়। অপরাধীদের যেন আইনের মাধ্যমেই বিচারের মুখোমুখি করা হয়।”

জুলাই আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে জামায়াত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডা. শফিক বলেন, “সরকার যদি উদ্যোগ নেয়, আমরা সহায়তা করব।”

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওখানে কিছু অপূর্ণতা ছিল, তবে তা পূরণ করে ন্যায়ের ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বিচার চাই, কিন্তু আর যেন আমাদের নেতাদের বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মতো অন্যায় না হয়।”

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তারা যেন ন্যায্য শাস্তি পায়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হলে কেউই পার পাবে না।”

তিনি বলেন, “সরকার গঠনের সুযোগ আসুক কিংবা বিরোধী দলে থাকুক—জামায়াতের ভূমিকা হবে স্পষ্ট, ন্যায়নিষ্ঠ ও ভয়হীন। আমরা কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করব না, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া।”

ডা. শফিক বলেন, “কে সরকার গঠন করবে, সেটা মুখ্য নয়। কিন্তু যারা সরকারে আসবে, তাদের উচিত জাতির এই দায়ভার সম্মান ও সততার সঙ্গে রক্ষা করা। আমরা এমন সরকার চাই, যাকে ইতিহাস কখনো বিশ্বাসঘাতক বলে না আখ্যা দেয়।”

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়ী হলে জাতীয় সরকার করবে জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান

জুলাই আন্দোলনের বিচার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন নয়: জামায়াত আমির

আপডেট সময় ০৯:২৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি একসঙ্গে চলতে হবে। এর মধ্যে বিচার ও সংস্কারের আগে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে তা হবে জাতির জন্য একটি ভয়াবহ বিপর্যয়। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকেও পরিষ্কার বার্তা এসেছে—বিচার না দেখে তারা কোনো নির্বাচন চায় না।”

তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের বিচার চাই, কিন্তু তা যেন প্রতিহিংসার নয়। তারা যেটা প্রাপ্য, সেটাই যেন পায়। অপরাধীদের যেন আইনের মাধ্যমেই বিচারের মুখোমুখি করা হয়।”

জুলাই আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে জামায়াত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডা. শফিক বলেন, “সরকার যদি উদ্যোগ নেয়, আমরা সহায়তা করব।”

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওখানে কিছু অপূর্ণতা ছিল, তবে তা পূরণ করে ন্যায়ের ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বিচার চাই, কিন্তু আর যেন আমাদের নেতাদের বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মতো অন্যায় না হয়।”

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তারা যেন ন্যায্য শাস্তি পায়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হলে কেউই পার পাবে না।”

তিনি বলেন, “সরকার গঠনের সুযোগ আসুক কিংবা বিরোধী দলে থাকুক—জামায়াতের ভূমিকা হবে স্পষ্ট, ন্যায়নিষ্ঠ ও ভয়হীন। আমরা কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করব না, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া।”

ডা. শফিক বলেন, “কে সরকার গঠন করবে, সেটা মুখ্য নয়। কিন্তু যারা সরকারে আসবে, তাদের উচিত জাতির এই দায়ভার সম্মান ও সততার সঙ্গে রক্ষা করা। আমরা এমন সরকার চাই, যাকে ইতিহাস কখনো বিশ্বাসঘাতক বলে না আখ্যা দেয়।”

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।