ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হালদা ব্রিজ এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, খোন্দকারের বহরে হামলা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • ৫৯৫ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে হালদা নদীর সাত্তারঘাট পয়েন্টে ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয় এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার ও তার অনুসারীরা রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কবর জিয়ারতে যাচ্ছিলেন। পথে হালদা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

সংঘর্ষে রাউজান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাবেক সচিব নাসিম উদ্দিন চৌধুরী, তার এপিএস আশিকুর রহমান, যুবদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন, আওরঙ্গজেব ও নাইম উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খোন্দকার অনুসারীরা হামলার জন্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের দায়ী করেছেন। গোলাম আকবর খোন্দকার অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে আগেই জানানো হয়েছিল হামলার পরিকল্পনার কথা। পুলিশকেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

সংঘর্ষের পর গোলাম আকবরের অনুসারীরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। পুরো রাউজান এখন উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা বলেন, “আমরা গত ১৭ বছর ধরে রাজনৈতিকভাবে নিপীড়নের শিকার। আজ কবর জিয়ারতের মতো একটি ধর্মীয় কাজে অংশ নিতে গিয়েও বাধার মুখে পড়েছি।”

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়ী হলে জাতীয় সরকার করবে জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান

হালদা ব্রিজ এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, খোন্দকারের বহরে হামলা

আপডেট সময় ১০:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে হালদা নদীর সাত্তারঘাট পয়েন্টে ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয় এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার ও তার অনুসারীরা রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কবর জিয়ারতে যাচ্ছিলেন। পথে হালদা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

সংঘর্ষে রাউজান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাবেক সচিব নাসিম উদ্দিন চৌধুরী, তার এপিএস আশিকুর রহমান, যুবদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন, আওরঙ্গজেব ও নাইম উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খোন্দকার অনুসারীরা হামলার জন্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের দায়ী করেছেন। গোলাম আকবর খোন্দকার অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে আগেই জানানো হয়েছিল হামলার পরিকল্পনার কথা। পুলিশকেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

সংঘর্ষের পর গোলাম আকবরের অনুসারীরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। পুরো রাউজান এখন উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা বলেন, “আমরা গত ১৭ বছর ধরে রাজনৈতিকভাবে নিপীড়নের শিকার। আজ কবর জিয়ারতের মতো একটি ধর্মীয় কাজে অংশ নিতে গিয়েও বাধার মুখে পড়েছি।”