ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও বিরোধী দমনচেষ্টায় আলোচনায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনের অভিযোগে ফের আলোচনায় এসেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজ এলাকা কুমিল্লা-৩ আসনে নিজ প্রভাব বিস্তারে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যদিও গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “আমার এমপি হওয়ার কোনো খায়েশ নেই।”

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি পদে থেকেও নিজ রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ বাস্তবায়নে পিতাসহ পরিবারের সদস্যদের সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছেন আসিফ। জানা গেছে, তার বাবা বিল্লাল হোসেন স্থানীয়ভাবে দাবি করে বেড়াচ্ছেন—তার ছেলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবং তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পাঁচবার সংসদ সদস্য থাকা এই প্রবীণ বিএনপি নেতাকে মোকাবিলায় নানা কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই আসিফ মাহমুদ মুরাদনগরে রাজনৈতিক ভিত্তি গড়ার চেষ্টা করছেন। এ লক্ষ্যে নিজের চাচাতো ভাই ওবায়দুল্লাহকে বানিয়েছেন ‘মুরাদনগর এনসিপি’-এর আহ্বায়ক। অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে, অন্যান্য এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ ও সুবিধা কেটে এনে তা নিজ এলাকায় বিতরণ করছেন তিনি।

তবে সবচেয়ে বিতর্কিত অভিযোগটি আসে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় হামলার নাটক সাজিয়ে মামলা দায়ের এবং পরে পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতার অভিযান চালানোর বিষয়ে। মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও নিম্ন আদালতে তা বাতিল করে বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। স্থানীয়দের দাবি, এসব ঘটনার পেছনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল আসিফ মাহমুদের।

ঘটনার জেরে গতকাল মঙ্গলবার মুরাদনগরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে আকুবপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আসিফের বাবা বিল্লাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িত। এক স্কুল শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পাশাপাশি আকুবপুরে আলোচিত ট্রিপল মার্ডার ঘটনার পেছনেও তার ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনা দূতাবাসে এনসিপি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বিদায়ী সংবর্ধনা

রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও বিরোধী দমনচেষ্টায় আলোচনায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আপডেট সময় ০৭:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনের অভিযোগে ফের আলোচনায় এসেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজ এলাকা কুমিল্লা-৩ আসনে নিজ প্রভাব বিস্তারে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যদিও গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “আমার এমপি হওয়ার কোনো খায়েশ নেই।”

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি পদে থেকেও নিজ রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ বাস্তবায়নে পিতাসহ পরিবারের সদস্যদের সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছেন আসিফ। জানা গেছে, তার বাবা বিল্লাল হোসেন স্থানীয়ভাবে দাবি করে বেড়াচ্ছেন—তার ছেলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবং তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পাঁচবার সংসদ সদস্য থাকা এই প্রবীণ বিএনপি নেতাকে মোকাবিলায় নানা কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই আসিফ মাহমুদ মুরাদনগরে রাজনৈতিক ভিত্তি গড়ার চেষ্টা করছেন। এ লক্ষ্যে নিজের চাচাতো ভাই ওবায়দুল্লাহকে বানিয়েছেন ‘মুরাদনগর এনসিপি’-এর আহ্বায়ক। অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে, অন্যান্য এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ ও সুবিধা কেটে এনে তা নিজ এলাকায় বিতরণ করছেন তিনি।

তবে সবচেয়ে বিতর্কিত অভিযোগটি আসে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় হামলার নাটক সাজিয়ে মামলা দায়ের এবং পরে পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতার অভিযান চালানোর বিষয়ে। মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও নিম্ন আদালতে তা বাতিল করে বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। স্থানীয়দের দাবি, এসব ঘটনার পেছনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল আসিফ মাহমুদের।

ঘটনার জেরে গতকাল মঙ্গলবার মুরাদনগরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে আকুবপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আসিফের বাবা বিল্লাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িত। এক স্কুল শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পাশাপাশি আকুবপুরে আলোচিত ট্রিপল মার্ডার ঘটনার পেছনেও তার ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।