রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ‘গোপন বৈঠক’-এর অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, বৈঠকে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনীর এক মেজরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকায় সেনা সদর দপ্তরের এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তাররা ‘প্রিয় স্বদেশ’, ‘এফ ৭১ গেরিলা’, ‘শেখ হাসিনা’, ‘বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম’সহ বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, ৮ জুলাই বসুন্ধরার কে বি কনভেনশন সেন্টারে দিনব্যাপী এই গোপন বৈঠকে ৩০০ থেকে ৪০০ জন অংশ নেন। বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোক এনে ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে ‘অস্থিরতা’ তৈরি ও তাঁকে ‘ঘোষণার মাধ্যমে’ পুনরায় ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন। তদন্তে উঠে এসেছে, ওই বৈঠকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও পরিচালিত হয়, যেখানে সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিক মূল সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন।
কনভেনশন সেন্টারের সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রাখা এবং কোনো ব্যানার ছাড়া ‘রাজনৈতিক রিহার্সেল’ চালানো এই বৈঠকের গোপনীয়তা বাড়িয়ে তোলে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত মেজরের বিষয়ে সেনাবাহিনী অবগত এবং তদন্ত চলছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা জানান, তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে সেনাবাহিনী নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ঘটনার পর ১৩ জুলাই ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তদন্ত চলমান রয়েছে।