ঢাকা ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল জুলাই বিপ্লব মোকাবেলার অজুহাতে’ — সাদিক কায়েম

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:২৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬১৩ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম বলেছেন, গত বছরের এই দিনে (১ আগস্ট) ফ্যাসিস্ট সরকার ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মূলত একটি সুপরিকল্পিত দমন অভিযানের বৈধতা তৈরি করেছিল। তার ভাষায়, “জুলাই বিপ্লবে দেশের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে সব দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দিয়ে ক্র্যাকডাউনের পথ বেছে নেয় সরকার।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন সাদিক কায়েম। তিনি বর্তমানে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি লেখেন, “তারা ভেবেছিল ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করলেই আন্দোলনের গতি থেমে যাবে। কিন্তু বিপ্লবী নেতৃত্বের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে আমরা সেদিন কোনো ফাঁদে পা দিইনি। বরং কৌশল ও পরিকল্পনার মাধ্যমে আন্দোলনের সার্বজনীন চরিত্র বজায় রেখে আমরা জনগণের কাতারেই থেকেছি।”

সাদিক কায়েম দাবি করেন, ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের মধ্য দিয়ে সরকার আশা করেছিল যে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ভেঙে পড়বে এবং জুলুমশাহী টিকিয়ে রাখা সহজ হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তিনি বলেন, “দল-মত, শ্রেণি-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ফলেই ‘ফতহে গণভবন’ নিশ্চিত হয়েছে।”

তার এই বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, ‘জুলাই বিপ্লব’ নামক অভ্যুত্থান-ধর্মী আন্দোলনে ছাত্রশিবির সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল না—এটি ছিল তাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত। তবে আন্দোলনের সফলতায় ছাত্রশিবির নিজেদের ভূমিকা এবং অবদানকেই মুখ্য বলে মনে করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গণসংযোগে নিহত ১৫ মামলার আসামি সরওয়ার বিএনপির কেউ নন: আমীর খসরু

‘ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল জুলাই বিপ্লব মোকাবেলার অজুহাতে’ — সাদিক কায়েম

আপডেট সময় ০৯:২৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম বলেছেন, গত বছরের এই দিনে (১ আগস্ট) ফ্যাসিস্ট সরকার ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মূলত একটি সুপরিকল্পিত দমন অভিযানের বৈধতা তৈরি করেছিল। তার ভাষায়, “জুলাই বিপ্লবে দেশের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে সব দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দিয়ে ক্র্যাকডাউনের পথ বেছে নেয় সরকার।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন সাদিক কায়েম। তিনি বর্তমানে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি লেখেন, “তারা ভেবেছিল ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করলেই আন্দোলনের গতি থেমে যাবে। কিন্তু বিপ্লবী নেতৃত্বের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে আমরা সেদিন কোনো ফাঁদে পা দিইনি। বরং কৌশল ও পরিকল্পনার মাধ্যমে আন্দোলনের সার্বজনীন চরিত্র বজায় রেখে আমরা জনগণের কাতারেই থেকেছি।”

সাদিক কায়েম দাবি করেন, ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের মধ্য দিয়ে সরকার আশা করেছিল যে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ভেঙে পড়বে এবং জুলুমশাহী টিকিয়ে রাখা সহজ হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তিনি বলেন, “দল-মত, শ্রেণি-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ফলেই ‘ফতহে গণভবন’ নিশ্চিত হয়েছে।”

তার এই বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, ‘জুলাই বিপ্লব’ নামক অভ্যুত্থান-ধর্মী আন্দোলনে ছাত্রশিবির সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল না—এটি ছিল তাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত। তবে আন্দোলনের সফলতায় ছাত্রশিবির নিজেদের ভূমিকা এবং অবদানকেই মুখ্য বলে মনে করছে।