ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে মাছ ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির ঘটনায় ‘কিলার গ্যাং’ চিঠি, গ্রেপ্তার শহর বিএনপির ৫ নেতা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:১৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৩০ বার পড়া হয়েছে

মাছ ব্যবসায়ী আজহার আলীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় টাঙ্গাইল শহর বিএনপির পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ‘কিলার গ্যাং’-এর নামে দেওয়া একটি হুমকিমূলক চিঠিকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। মামলার পর সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃতদের শনাক্ত করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজন পুলিশের কাছে দায় স্বীকার করেছেন বলেও জানিয়েছে থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ও সাব্বির হোসেন। শনিবার ভোরে সন্তোষ এলাকায় যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাব্বির হোসেন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চিঠির বিবরণে দেখা যায়, আজহার আলীকে হুমকি দিয়ে লেখা হয়েছে—“চিঠি পাওয়ার পর যদি কাউকে বলিস বা আইনি পথে যাস, তোকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা এমনভাবে করব, যেন লাশও না পাওয়া যায়। মনে রাখবি, প্রশাসন সবসময় তোকে রক্ষা করবে না।” চিঠিতে আরও বলা হয়, নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে চাঁদার অর্থ রেখে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজহার আলী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা করছেন। তার দাবি, টাঙ্গাইলে এরকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। বৃহস্পতিবার রাতে কর্মচারী নিশার মাধ্যমে ‘কিলার গ্যাং’ নামের এক সদস্য চিঠিটি পৌঁছে দেয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।

এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে। টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইজাজুল হক সবুজ বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।” জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালও একই অভিযোগ করে বলেন, “আমরাও দলীয়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। প্রমাণ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “চিঠি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যেই হোক, দলীয় পরিচয় যাই থাকুক, অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা ফাঁসির মুখেও দেশ ছাড়িনি

টাঙ্গাইলে মাছ ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির ঘটনায় ‘কিলার গ্যাং’ চিঠি, গ্রেপ্তার শহর বিএনপির ৫ নেতা

আপডেট সময় ০৮:১৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

মাছ ব্যবসায়ী আজহার আলীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় টাঙ্গাইল শহর বিএনপির পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ‘কিলার গ্যাং’-এর নামে দেওয়া একটি হুমকিমূলক চিঠিকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। মামলার পর সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃতদের শনাক্ত করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজন পুলিশের কাছে দায় স্বীকার করেছেন বলেও জানিয়েছে থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ও সাব্বির হোসেন। শনিবার ভোরে সন্তোষ এলাকায় যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাব্বির হোসেন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চিঠির বিবরণে দেখা যায়, আজহার আলীকে হুমকি দিয়ে লেখা হয়েছে—“চিঠি পাওয়ার পর যদি কাউকে বলিস বা আইনি পথে যাস, তোকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা এমনভাবে করব, যেন লাশও না পাওয়া যায়। মনে রাখবি, প্রশাসন সবসময় তোকে রক্ষা করবে না।” চিঠিতে আরও বলা হয়, নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে চাঁদার অর্থ রেখে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজহার আলী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা করছেন। তার দাবি, টাঙ্গাইলে এরকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। বৃহস্পতিবার রাতে কর্মচারী নিশার মাধ্যমে ‘কিলার গ্যাং’ নামের এক সদস্য চিঠিটি পৌঁছে দেয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।

এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে। টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইজাজুল হক সবুজ বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।” জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালও একই অভিযোগ করে বলেন, “আমরাও দলীয়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। প্রমাণ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “চিঠি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যেই হোক, দলীয় পরিচয় যাই থাকুক, অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।”