ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রদলের দুই নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে শোকজ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫২১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মিনহাজ আলম,
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

বিএনপির’ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় শাস্তির মুখে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র আরও ৪ নেতা। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গেল ১২ জুলাই ভোটের মাধ্যমে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে ফলাফল দেরিতে ঘোষণা দেয়াকে কেন্দ্র করে ওই উপজেলার অনুষ্ঠিত ভোট কেন্দ্রে বিএনপির মহাসচিবের ভাই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনের গাড়ীতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এর আগে কাউন্সিলে তারা দুজন নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা দেন মির্জা ফয়সল।

তবে পরবর্তিতে হামলার ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক টিএম মাহবুবুর রহমানকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিস্কার করা হয়।

আর দুই নেতার বিরুদ্ধে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেয় উপজেলা বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে শাস্তির মুখে পড়েছে আরও চারজন নেতা। এর মধ্যে দুজনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি এবং দুজনকে শোকজ করে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

গত শুক্রবার (০১ আগস্ট) ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মাসুদুল ইসলাম মুন্না ও সদস্য সচিব কামরুজ্জামান কামুর স্বাক্ষরিত পত্রে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি জুলফিকার আলী শাহ ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ চৌধুরীকে দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কার্য দিবসের মধ্যে জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।

একই দিনে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ইমরান মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংগঠনিক শৃঙখলা ভঙ্গের অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রদলে যুগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস আলী ও সাদ্দাম হোসেনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই দুই নেতাকে বহিস্কার করা হয়। আর সেই বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য ৩ দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠন।

এরপর থেকে গত ৩০ জুলাই বিক্ষোভ সমাবেশ, পরের দিন ৩১ জুলাই মানববন্ধন ও সর্বশেষ ০২ আগস্ট অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ভোটের মাধ্যমে বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি পদে ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপির মহাসচিবের ভাই জেলার সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন এসে ফলাফল ঘোষণা করেন। ফেরার সময় কে বা কাহারা তার উপর হামলা ও তাকে বহনকারী গাড়ীতে ভাঙচুর করে।

পরে গত ১৩ জুলাই বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী সংবাদ সম্মেলন করে কাউন্সিলের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেন এবং জেলা বিএনপির সভায় দুই নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা ফাঁসির মুখেও দেশ ছাড়িনি

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রদলের দুই নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে শোকজ

আপডেট সময় ১০:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

মোঃ মিনহাজ আলম,
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

বিএনপির’ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় শাস্তির মুখে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র আরও ৪ নেতা। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গেল ১২ জুলাই ভোটের মাধ্যমে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে ফলাফল দেরিতে ঘোষণা দেয়াকে কেন্দ্র করে ওই উপজেলার অনুষ্ঠিত ভোট কেন্দ্রে বিএনপির মহাসচিবের ভাই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনের গাড়ীতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এর আগে কাউন্সিলে তারা দুজন নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা দেন মির্জা ফয়সল।

তবে পরবর্তিতে হামলার ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক টিএম মাহবুবুর রহমানকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিস্কার করা হয়।

আর দুই নেতার বিরুদ্ধে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেয় উপজেলা বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে শাস্তির মুখে পড়েছে আরও চারজন নেতা। এর মধ্যে দুজনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি এবং দুজনকে শোকজ করে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

গত শুক্রবার (০১ আগস্ট) ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মাসুদুল ইসলাম মুন্না ও সদস্য সচিব কামরুজ্জামান কামুর স্বাক্ষরিত পত্রে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি জুলফিকার আলী শাহ ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ চৌধুরীকে দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কার্য দিবসের মধ্যে জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।

একই দিনে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ইমরান মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংগঠনিক শৃঙখলা ভঙ্গের অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রদলে যুগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস আলী ও সাদ্দাম হোসেনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই দুই নেতাকে বহিস্কার করা হয়। আর সেই বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য ৩ দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠন।

এরপর থেকে গত ৩০ জুলাই বিক্ষোভ সমাবেশ, পরের দিন ৩১ জুলাই মানববন্ধন ও সর্বশেষ ০২ আগস্ট অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ভোটের মাধ্যমে বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি পদে ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপির মহাসচিবের ভাই জেলার সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন এসে ফলাফল ঘোষণা করেন। ফেরার সময় কে বা কাহারা তার উপর হামলা ও তাকে বহনকারী গাড়ীতে ভাঙচুর করে।

পরে গত ১৩ জুলাই বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী সংবাদ সম্মেলন করে কাউন্সিলের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেন এবং জেলা বিএনপির সভায় দুই নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠায়।