বিএনপির মালয়েশিয়া শাখার সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ড. ফয়জুল হক। সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ড. ফয়জুল বলেন, আর কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নয়, এবার তিনি একজন “স্বাধীনচেতা মজলুম মানুষের প্রতিনিধি” হিসেবে নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। তার ভাষায়, “দল নয়, দেশই আমার প্রথম পরিচয়।” তিনি জানান, তিনি এখন থেকে যেকোনো ভালো উদ্যোগকে দলীয় পরিচয় ছাড়াই সমর্থন করবেন।
বিএনপি থেকে পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ইসলামপন্থিদের প্রতি দলের অবস্থান তাকে ব্যথিত করেছে। ৫ আগস্টের একটি ঘটনার পর বিএনপির বক্তব্য আওয়ামী লীগের সুরের সঙ্গে মিলে যাওয়ায়, ডানপন্থি রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে কোণঠাসা মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি পাথর মারা, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি এই রাজনীতির বিরুদ্ধে। এলাকায় আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমি বহুদিন ধরে মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে দাঁড়িয়েছি।”
নিজেকে “মজলুম প্রার্থী” হিসেবে আখ্যায়িত করে ড. ফয়জুল আশাবাদ ব্যক্ত করেন, অন্তত ৬০ থেকে ৭০ হাজার ভোটে তিনি জয়ী হবেন। সংসদে পৌঁছাতে পারলে বৃহৎ পরিসরে জনসেবা করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ত্যাগ করলেও তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “তাদের প্রতি ভালোবাসা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, তার এই ঘোষণার সময় জামায়াতপন্থি একাধিক নেতাও উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন পৌর জামায়াতের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন এবং মো. সাকলাইন মোশতাক।