সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতাকর্মীদের পদত্যাগের ঢেউ যেন থামছেই না। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) পদত্যাগ করেছেন জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদ সাংবাদিক আবু তাহের মোহাম্মদ তুরাবের ভাই ও সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আবুল আজরফ আহসান জাবুর। রাতেই নিজের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
আবুল আজরফ আহসান জাবুর বলেন, “বৃহস্পতিবার আমি সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে সংগঠনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকা সম্ভব হচ্ছে না।”
তিনি বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা। সদ্য ঘোষিত সিলেট জেলা কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন নাজিম উদ্দিন শাহান এবং আবুল আজরফ আহসান জাবুর ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী।
কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগর কমিটিতে পদত্যাগের ঘটনা একের পর এক ঘটছে। এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সিলেটে দলের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
গত ১২ জুলাই কমিটি ঘোষণার পরদিনই গোয়াইনঘাট উপজেলা কমিটি থেকে যুগ্ম সমন্বয়কারী নাদিম মাহমুদ ও সদস্য ফাহিম আহমদ, এবং বিশ্বনাথ উপজেলা কমিটি থেকে যুগ্ম সমন্বয়কারী রুহুল আমিন ও সদস্য শাহেদ আহম্মেদ পদত্যাগ করেন। এরপর ১৪ জুলাই বিয়ানীবাজার উপজেলা কমিটির সদস্য রুহুল আমিনও পদত্যাগ করেন।
সবশেষ ২১ জুলাই গোয়াইনঘাট উপজেলা কমিটি থেকে যুগ্ম সমন্বয়কারী এনামুল হক মারুফ, সদস্য তরিকুল ইসলাম, কিবরিয়া আহমদ ও কামরুল হাসান সরে দাঁড়ান।
স্থানীয় নেতাদের মতে, কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া, অজ্ঞাতভাবে নাম অন্তর্ভুক্তকরণ এবং অন্য রাজনৈতিক দলের চাপের কারণেই এসব পদত্যাগ ঘটছে। তবে এনসিপি হাইকমান্ড এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বলে জানিয়েছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী এমডি সালাহ উদ্দিন সাজু।
তিনি বলেন, “পদত্যাগ রাজনৈতিক দলের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এনসিপি একটি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, তাই নানা চাপের মুখে কিছু নেতাকর্মী সরে দাঁড়াচ্ছেন। তবে এনসিপি মাঠে থেকে রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য।”