ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিএনপি নেতা সহ ৩৪ জুয়াড়ি আটক, মাদক মামলা হয়নি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলে যৌথবাহিনীর অভিযানে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলীসহ ৩৪ জনকে জুয়া খেলার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তবে মাদক ও মাদকের সরঞ্জাম উদ্ধার হলেও তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা হয়নি।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গভীর রাতে টাঙ্গাইল শহরের শতাব্দী ক্লাব থেকে তাদের আটক করে যৌথবাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়—আটকদের সামনে দুটি খালি মদের বোতল, সাত বান্ডিল টাকা, ২৩ সেট তাস, গাঁজা কাটার যন্ত্র, গাঁজা ভর্তি কাগজ ও একটি বাক্স রাখা আছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের বাঁচাতে ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে শুধু জুয়া আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয় অভিযুক্তদের। পরে তারা মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে জামিনে মুক্তি পান। টাঙ্গাইল মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আজাদ বলেন, আলামত আদালতে উপস্থাপন না করা আইনবিরোধী, পাশাপাশি শহরের অন্যান্য ক্লাবেও অভিযান চালানোর দাবি জানান তিনি।

তবে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী তাদের কাছে কোনো মাদকদ্রব্য বুঝিয়ে দেয়নি, তাই মাদক মামলা বা ডোপ টেস্টের প্রশ্ন আসে না। একইভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আদিবুর রহমান জানান, বোতলে মাদক না থাকায় মামলা হয়নি—মাদক না পেলে মামলা দেওয়া সম্ভব নয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানে ত্রাণ পৌঁছল গাজায়, মানবিক সংকট এখনও কমেনি

টাঙ্গাইলে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিএনপি নেতা সহ ৩৪ জুয়াড়ি আটক, মাদক মামলা হয়নি

আপডেট সময় ০৮:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

টাঙ্গাইলে যৌথবাহিনীর অভিযানে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলীসহ ৩৪ জনকে জুয়া খেলার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তবে মাদক ও মাদকের সরঞ্জাম উদ্ধার হলেও তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা হয়নি।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গভীর রাতে টাঙ্গাইল শহরের শতাব্দী ক্লাব থেকে তাদের আটক করে যৌথবাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়—আটকদের সামনে দুটি খালি মদের বোতল, সাত বান্ডিল টাকা, ২৩ সেট তাস, গাঁজা কাটার যন্ত্র, গাঁজা ভর্তি কাগজ ও একটি বাক্স রাখা আছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের বাঁচাতে ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে শুধু জুয়া আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয় অভিযুক্তদের। পরে তারা মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে জামিনে মুক্তি পান। টাঙ্গাইল মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আজাদ বলেন, আলামত আদালতে উপস্থাপন না করা আইনবিরোধী, পাশাপাশি শহরের অন্যান্য ক্লাবেও অভিযান চালানোর দাবি জানান তিনি।

তবে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী তাদের কাছে কোনো মাদকদ্রব্য বুঝিয়ে দেয়নি, তাই মাদক মামলা বা ডোপ টেস্টের প্রশ্ন আসে না। একইভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আদিবুর রহমান জানান, বোতলে মাদক না থাকায় মামলা হয়নি—মাদক না পেলে মামলা দেওয়া সম্ভব নয়।