ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৩২ বার পড়া হয়েছে

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ভোরে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবনে তাঁকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে—যা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ও কলঙ্কজনক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত।

সেই রাতে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও কনিষ্ঠ শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ডাকে ছুটে আসা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক নিহত হন। একই রাতে বঙ্গবন্ধুর ভাগনে শেখ ফজলুল হক মনি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর কন্যা বেবি, পুত্র আরিফ, নাতি সুকান্ত বাবু, ভাতিজা সজীব সেরনিয়াবাত ও আত্মীয় আবদুল নঈম খানকেও হত্যা করা হয়। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে এবং ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। ১৯৯৮ সালে আদালত ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন, যার মধ্যে ৬ জনের দণ্ড কার্যকর হয়েছে, ১ জন বিদেশে মারা গেছেন এবং ৫ জন এখনও পলাতক।

২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় ফিরে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৫ বছর ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকে ঘিরে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করে। তবে গত বছরের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়। সেই বছরের ৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয় এবং ছয় মাস পর ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়।

ষাটের দশকের শেষদিকে রাজনৈতিক নেতৃত্বে উজ্জ্বল হয়ে ওঠা শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতে স্বাধীনতার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে—যেখানে তিনি ঘোষণা দেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানে ত্রাণ পৌঁছল গাজায়, মানবিক সংকট এখনও কমেনি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় ১১:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ভোরে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবনে তাঁকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে—যা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ও কলঙ্কজনক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত।

সেই রাতে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও কনিষ্ঠ শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ডাকে ছুটে আসা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক নিহত হন। একই রাতে বঙ্গবন্ধুর ভাগনে শেখ ফজলুল হক মনি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর কন্যা বেবি, পুত্র আরিফ, নাতি সুকান্ত বাবু, ভাতিজা সজীব সেরনিয়াবাত ও আত্মীয় আবদুল নঈম খানকেও হত্যা করা হয়। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে এবং ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। ১৯৯৮ সালে আদালত ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন, যার মধ্যে ৬ জনের দণ্ড কার্যকর হয়েছে, ১ জন বিদেশে মারা গেছেন এবং ৫ জন এখনও পলাতক।

২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় ফিরে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৫ বছর ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকে ঘিরে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করে। তবে গত বছরের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়। সেই বছরের ৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয় এবং ছয় মাস পর ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়।

ষাটের দশকের শেষদিকে রাজনৈতিক নেতৃত্বে উজ্জ্বল হয়ে ওঠা শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতে স্বাধীনতার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে—যেখানে তিনি ঘোষণা দেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”