“দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না”— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, নির্বাচন আয়োজনের আগে তাদের উত্থাপিত শর্ত ও দাবিগুলো পূরণ করতেই হবে। অন্যথায় নির্বাচনের আয়োজন অর্থহীন হয়ে পড়বে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “নির্বাচনের জন্য যে শর্ত ও দাবিগুলো আমরা দিয়েছি, সেগুলো এনসিউর করেই সরকারকে নির্বাচনে যেতে হবে। তাহলেই প্রতিশ্রুতি দিতে পারি—নির্বাচন হবে। অন্যথায় নির্বাচন হবে না।”
তিনি স্পষ্ট করে জানান, ফেব্রুয়ারিতে কিংবা চলতি বছরের ডিসেম্বরেও নির্বাচন হলে জামায়াতের আপত্তি নেই। তবে তার আগে সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, “এখনো ভোটের মাঠে সমান সুযোগ দৃশ্যমান নয়। আমাদের এ উদ্বেগ নিরসনে কাজ করা হচ্ছে বলে ইসি আশ্বস্ত করেছে।”
জামায়াতের দাবি—সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে সবার মতামত আমলে নিতে হবে। একইসঙ্গে সন্ত্রাস ও অনিয়ম বন্ধ করতে হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আযাদ বলেন, “সবাই সব দাবি মেনে নাও নিতে পারে, যেমন তত্ত্বাবধায়কও অনেকেই চায়নি। কিন্তু জাতির কল্যাণে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন জরুরি। জনগণ চাইলে অবশ্যই এ দাবি মানতে হবে। জামায়াত এ নিয়ে মাঠে থাকবে, পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নেবে।”