ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফজলুর রহমানের বক্তব্যে উত্তাল ‘জুলাই ঐক্য’ ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, বহিষ্কার-গ্রেফতারের দাবি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। ‘জুলাই ঐক্য’ নামের বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ শক্তি রবিবার (২৪ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফজলুর রহমানকে সংগঠনের সব পদ থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ফজলুর রহমানের ‘৫ আগস্ট’ সংক্রান্ত মন্তব্য শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানীর সামিল এবং এটি গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। তারা দাবি করে, বিএনপি শুধু শোকজ নোটিশে থেমে গেলে আন্দোলনের স্পিরিট দুর্বল হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানে ফজলুর রহমান বলেন, “৫ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহ ঘটিয়েছে কালো শক্তি, যারা ঘটিয়েছে তারা নেতা নয়, অভিনেতা; তারা রাজাকারের বংশধর।” এই বক্তব্যকে বিকৃত ও বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে ‘জুলাই ঐক্য’ মনে করছে, এতে শুধু জুলাই-আগস্ট নয় বরং বিএনপির দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় ফজলুর রহমান বাধাহীনভাবে রাজনীতি করেছেন এবং বিএনপির আন্দোলনের সময়ও তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।

‘জুলাই ঐক্য’ সতর্ক করে বলেছে—চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনা দমন বা মুজিববাদের পুনরুত্থনের চেষ্টা হলে তারা “চূড়ান্ত বিপ্লবের পথ” বেছে নেবে।

বিবৃতিতে ৯০টিরও বেশি সংগঠন এই অবস্থানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ছাত্র, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠন।

জনপ্রিয় সংবাদ

তিতাসে গাঁজাসহ বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

ফজলুর রহমানের বক্তব্যে উত্তাল ‘জুলাই ঐক্য’ ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, বহিষ্কার-গ্রেফতারের দাবি

আপডেট সময় ১১:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। ‘জুলাই ঐক্য’ নামের বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ শক্তি রবিবার (২৪ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফজলুর রহমানকে সংগঠনের সব পদ থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ফজলুর রহমানের ‘৫ আগস্ট’ সংক্রান্ত মন্তব্য শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানীর সামিল এবং এটি গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। তারা দাবি করে, বিএনপি শুধু শোকজ নোটিশে থেমে গেলে আন্দোলনের স্পিরিট দুর্বল হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানে ফজলুর রহমান বলেন, “৫ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহ ঘটিয়েছে কালো শক্তি, যারা ঘটিয়েছে তারা নেতা নয়, অভিনেতা; তারা রাজাকারের বংশধর।” এই বক্তব্যকে বিকৃত ও বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে ‘জুলাই ঐক্য’ মনে করছে, এতে শুধু জুলাই-আগস্ট নয় বরং বিএনপির দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় ফজলুর রহমান বাধাহীনভাবে রাজনীতি করেছেন এবং বিএনপির আন্দোলনের সময়ও তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।

‘জুলাই ঐক্য’ সতর্ক করে বলেছে—চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনা দমন বা মুজিববাদের পুনরুত্থনের চেষ্টা হলে তারা “চূড়ান্ত বিপ্লবের পথ” বেছে নেবে।

বিবৃতিতে ৯০টিরও বেশি সংগঠন এই অবস্থানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ছাত্র, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠন।