২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে তিনি নিজের অবস্থান তুলে ধরেন।
চিঠিতে ফজলুর রহমান স্পষ্ট করেন, তিনি কোনো কুরুচিপূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেননি। বরং জুলাই আন্দোলনের শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছেন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শহীদ আবু সাঈদকে হত্যার পরই তিনি তাকে একুশ শতাব্দীর প্রথম ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ইসলাম ও আল্লাহ-রাসূলে তার অটল বিশ্বাস রয়েছে, তবে রাজনৈতিকভাবে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই ছিলেন এবং থাকবেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বলেন, এই আন্দোলনের মূল ভীত গড়ে তুলেছিল বিএনপি। কিন্তু পরবর্তীতে ইসলামী ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু নেতা আন্দোলনের কৃতিত্ব নিজেদের করে নিতে চান। তিনি এটিকে ‘আন্দোলনের ফসল কাটার অন্যায় প্রচেষ্টা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তার ভাষায়, “১৫ বছরের আন্দোলনের জমি তৈরি করেছে বিএনপি, বীজ-চারা রোপন করেছে বিএনপি, পানি-তেল দিয়ে ধান ফলিয়েছে বিএনপি। অথচ ফসল কাটার সময় ছাত্রশিবির সেটি নিয়ে গেল। এরা আমার ভাষায় ছিল ‘দাওয়াল’। তাই আন্দোলনের পুরো কৃতিত্ব তাদের নয়।”
ফজলুর রহমানের এই অবস্থানকে দলের ভেতরে কেমনভাবে দেখা হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।