মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ও টেক্সাসের রিপাবলিকান কংগ্রেসনাল প্রার্থী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ ফের বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে তাকে ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন ফায়ার গান ব্যবহার করে পোড়াতে দেখা যায়। ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, “আমি টেক্সাসে ইসলাম শেষ করে দেব, হে ঈশ্বর আমাকে সাহায্য করুন।”
গোমেজ কোরআন পোড়ানোর পাশাপাশি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন এবং দর্শকদের তাকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করার আহ্বান জানান। ভিডিও প্রকাশের পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে ধর্মীয় গোষ্ঠী ও সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিন্দার ঝড় ওঠে। আসন্ন মার্কিন কংগ্রেসনাল নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রসার নিয়ে নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ভ্যালেন্টিনা গোমেজ এর আগেও নানা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নিউ ইয়র্কে এক বিক্ষোভে তিনি অভিবাসীর প্রতীকী ডামিকে গুলি করেন এবং সহিংস অপরাধে অভিযুক্ত অভিবাসীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার আহ্বান জানান। সে সময়ও তার ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয় এবং পরবর্তীতে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়।
এছাড়া তিনি এলজিবিটিকিউ+ বিষয়ক বই পোড়ানোর ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন, যদিও এসব পদক্ষেপ তার নির্বাচনি সমর্থন বাড়াতে ব্যর্থ হয়। রিপাবলিকান প্রাইমারিতে তিনি মাত্র ৭.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন।
১৯৯৯ সালে কলম্বিয়ার মেডেলিনে জন্ম নেওয়া গোমেজ ২০০৯ সালে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন করেন। রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী ও অর্থদাতা হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন ২০২৪ সালে। ধারাবাহিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের কারণে তিনি ইতোমধ্যেই একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন।