সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কিসওয়া এলাকায় নতুন করে সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল। এর মাত্র একদিন আগে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় সিরিয়ার সেনাবাহিনীর ছয় সদস্য নিহত হন।
সিরিয়ার রাষ্ট্র-পরিচালিত আল-ইখবারিয়া টিভি জানিয়েছে, কিসওয়া গ্রামের একটি পুরনো সেনা ব্যারাকে লক্ষ্য করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী আক্রমণ চালায়। আল-জাজিরার ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট প্রকাশিত একটি ভিডিও যাচাই করে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলের এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের গুরুতর লঙ্ঘন এবং দেশটির সার্বভৌম অধিকার ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে উপেক্ষা করার স্পষ্ট উদাহরণ।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, চারটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ইসরাইলি বাহিনী ওই এলাকায় নামে এবং দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থান করে। তবে অভিযানের সময় সিরিয়ার সেনাদের সঙ্গে তাদের কোনো সরাসরি সংঘর্ষ হয়নি।
গত ডিসেম্বর সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে ইসরাইল সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে শতাধিক হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি গোলান মালভূমির বাফার জোনে প্রবেশ করে নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি অভিযোগ করেছে, মাউন্ট হারমনের কাছে কৌশলগত একটি সীমান্ত অঞ্চলে ইসরাইল ৬০ জন সেনা মোতায়েন করে এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানী এই পদক্ষেপকে “সম্প্রসারণবাদী ও বিভক্তিমূলক ষড়যন্ত্র” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
অন্যদিকে, গত জুলাইয়ে সুয়াইদা প্রদেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে প্রায় ১,৪০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তখন ইসরাইল দাবি করে, তারা দ্রুজ সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই ওই অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার চলমান সংকট মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা সৃষ্টি করছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
 
																			 
										 ডেস্ক রিপোর্টঃ
																ডেস্ক রিপোর্টঃ								 
























