জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি দেশ গাজার দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীনসহ অন্যান্য দেশ একযোগে অভিযোগ করে জানায়, গাজার অনাহার মানবসৃষ্ট এবং এর জন্য তেল আবিব দায়ী।
বৈঠকে আলজেরিয়ার প্রতিনিধি গাজার অভুক্ত শিশুদের ছবি প্রদর্শন করেন এবং ইসরায়েলি হামলায় নিহত সাংবাদিক মরিয়ম আবু দাগ্গার লেখা চিঠি পাঠ করে শোনান। তবে ইসরায়েলের প্রতিনিধি ড্যানি ড্যানন এসব তথ্য অস্বীকার করে শিশুদের মৃত্যু অন্য রোগের কারণে হয়েছে বলে দাবি করেন। পাল্টা জবাবে আলজেরিয়ার প্রতিনিধি ওমর বেন্ডজামা জানান, জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিবেদন ও আইপিসি’র রিপোর্টেই দুর্ভিক্ষের প্রমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখিত রয়েছে।
ব্রিটিশ প্রতিনিধি বারবারা ওডওয়ার্ড বলেন, “আধুনিক ইতিহাসে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো দুর্ভিক্ষ রেকর্ড হলো। এটি সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট। সীমান্তে খাবারের ট্রাক অপেক্ষা করছে, অথচ শিশুরা অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে।”
তবে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতোই ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নেয়। মার্কিন প্রতিনিধি ডরোথি শিয়া আইপিসি’র প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি স্বীকার করেন গাজায় ক্ষুধা একটি বড় সমস্যা হলেও দুর্ভিক্ষের দাবিকে অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেন।
নিরাপত্তা পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই ইসরায়েলের সমালোচনা করে বলেন, গাজায় ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। পাশাপাশি অবিলম্বে নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানান তারা।