যাত্রীবেশে ট্রেনে উঠে কৌশলে দুই নারী যাত্রীকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালঙ্কার লুটের চেষ্টা করেছেন অজ্ঞান পার্টির এক সদস্য। তবে পাশের যাত্রীদের বুদ্ধিমত্তায় শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যান তিনি।
শনিবার ভোরে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ঝ বগির ৭৮ ও ৭৯ নম্বর সিটে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী দুই নারী—কৌশিলা রায় ও তার মেয়ে বীথি রায়—দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। তাদের পাশের ৭৭ নম্বর সিটে বসেছিলেন অজ্ঞান পার্টির হোতা ফুল মিয়া।
পুলিশ জানায়, আলাপচারিতার একপর্যায়ে কৌশলে জুস পান করতে অনুরোধ করেন ফুল মিয়া। জোরাজুরিতে জুস পান করার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন মা-মেয়ে। এরপর তাদের কানের দুল ও নাকফুল খুলে নেন তিনি। এ সময় পাশের যাত্রী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ফুল মিয়াকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও যাত্রীরা ফুল মিয়াকে তার নিজের কাছে থাকা জুস পান করাতে বাধ্য করলে সেও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখনই প্রতারণার ঘটনা নিশ্চিত হয়। পরে রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞান পার্টির সদস্যসহ ভুক্তভোগী দুজনকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি মাহমুদ-উন নবী জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৌশিলা রায়ের ছেলে রবীন্দ্রনাথ রায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।