ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় এবং গোপনে বিয়ে করার অভিযোগে পারভেজ হোসেন (৩০) এখন জীবনের সবচেয়ে ভয়ানক অধ্যায়ে রয়েছেন। শ্বশুর-শাশুড়ির নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে পারভেজকে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজারবাগ বিএনকে হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর শয্যাপাশে চিকিৎসাধীন।
পারভেজের বিরুদ্ধে পূর্বে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় নাবালিকা অপহরণের মামলা দায়ের করেছিলেন শ্বশুর লুৎফর শিকদার। পারভেজের পিতা মহিউদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, “ওরা আমার ছেলের জীবনটা কেড়ে না নেওয়া পর্যন্ত ক্ষ্যান্ত হবে না।”
জানা গেছে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার পারভেজ হোসেনের সঙ্গে যশোর শহরের নীলগঞ্জ এলাকার লুৎফর শিকদারের মেয়ে চাঁদনী আক্তার লতার পরিচয় হয় ফেসবুকে। চলতি বছরের ২১ এপ্রিল তারা গোপনে বিয়ে করেন। পারভেজের পরিবার বিয়ে মেনে নিয়েছিল, কিন্তু লতার পরিবার নারাজ ছিলেন। পরে লুৎফর শিকদার জামাই ও মেয়েকে যশোরে ডেকে নিয়ে গোপনে মামলা দিয়ে পারভেজকে হাজতবাসে পাঠান। ৩ জুলাই পারভেজ জামিন পান।
পারভেজের পিতা জানিয়েছেন, “ছেলের প্রেমের বিয়ে মেনে নিয়েছি বলে তাকে মিথ্যা অপহরণের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এখন তারা আমার ছেলের জীবনটা কেড়ে নিতে চাইছে।”
মহিউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, মামলা নিষ্পত্তি ও মীমাংসার নামে পারভেজকে পুনরায় যশোরে ডেকে নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। একপর্যায় মুখে বিষ ঢেলে হত্যা চেষ্টার পর পারভেজকে পুলিশ পরামর্শে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।