ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪০ দিন অফিস বন্ধ, তেল খরচ স্বাভাবিক: ডিএসসিসিতে দুর্নীতির অভিযোগ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৩:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৫৪ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের কারণে ৪০ দিন নগর ভবনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তাদের অনেকে তখন এক দিনও অফিসে আসেননি। অথচ তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা গাড়ির বিপরীতে প্রতিদিন ১৪–১৫ লিটার তেল খরচ দেখিয়েছেন। দক্ষিণ সিটিরই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, অফিস বন্ধ থাকার পরও এই তেল গেল কোথায়? ঢাকা দক্ষিণ সিটির হিসাব অনুযায়ী, সংস্থাটিতে প্রতি মাসে জ্বালানি খাতে খরচ হয় প্রায় ৫ কোটি টাকা। এপ্রিল, মে ও জুন মাসের খরচ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মে ও জুন মাসে নগর ভবন ৪০ দিন বন্ধ থাকলেও খরচ হয়েছে স্বাভাবিক সময়ের সমান তেল। অথচ এই সময়ে কার্যত কোনো অফিস কার্যক্রম ছিল না।বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ ধরনের কার্যকলাপ শুধু অনিয়ম নয়, এটি সরাসরি দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়। একজন নাগরিকের করের টাকায় পরিচালিত এই সংস্থায় এত বড় অনিয়মের ঘটনা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, কেউ যদি অফিস না করেও তেল ইস্যু করে থাকেন, তাহলে সেটা নিতান্তই অন্যায়। এ ধরনের বিষয় থাকলে তিনি খতিয়ে দেখবেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে ১৯ সেনা নিহত হওয়ার পর কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন শাহবাজ শরিফ

৪০ দিন অফিস বন্ধ, তেল খরচ স্বাভাবিক: ডিএসসিসিতে দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের কারণে ৪০ দিন নগর ভবনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তাদের অনেকে তখন এক দিনও অফিসে আসেননি। অথচ তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা গাড়ির বিপরীতে প্রতিদিন ১৪–১৫ লিটার তেল খরচ দেখিয়েছেন। দক্ষিণ সিটিরই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, অফিস বন্ধ থাকার পরও এই তেল গেল কোথায়? ঢাকা দক্ষিণ সিটির হিসাব অনুযায়ী, সংস্থাটিতে প্রতি মাসে জ্বালানি খাতে খরচ হয় প্রায় ৫ কোটি টাকা। এপ্রিল, মে ও জুন মাসের খরচ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মে ও জুন মাসে নগর ভবন ৪০ দিন বন্ধ থাকলেও খরচ হয়েছে স্বাভাবিক সময়ের সমান তেল। অথচ এই সময়ে কার্যত কোনো অফিস কার্যক্রম ছিল না।বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ ধরনের কার্যকলাপ শুধু অনিয়ম নয়, এটি সরাসরি দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়। একজন নাগরিকের করের টাকায় পরিচালিত এই সংস্থায় এত বড় অনিয়মের ঘটনা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, কেউ যদি অফিস না করেও তেল ইস্যু করে থাকেন, তাহলে সেটা নিতান্তই অন্যায়। এ ধরনের বিষয় থাকলে তিনি খতিয়ে দেখবেন।