ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মুঘল আমলের স্থাপত্য নিদর্শন:

বগুড়ায় সবুজের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ৫০০ বছরের প্রাচীন আলিয়া মসজিদ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:২২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬২৪ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1,"effects":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের হাজারকি গ্রামে সবুজ-শ্যামল গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় পাঁচশ’ বছরের প্রাচীন এক মসজিদ। স্থানীয়ভাবে আলিয়া মসজিদ নামে পরিচিত এই স্থাপনাটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে এখনও টিকে আছে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এই মসজিদটি আবিষ্কৃত হয় প্রায় ২৫ বছর আগে। স্থানীয়দের ভাষ্য, হাজারকি গ্রামের পূর্বপাশে পরিত্যক্ত আলিয়া পুকুরপাড়ে জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় মসজিদটির অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। এরপর থেকেই এটি স্থানীয়দের আগ্রহ এবং দর্শনার্থীদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। মাত্র ১৩ ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বিশিষ্ট এই মসজিদের উচ্চতা প্রায় ২২ ফুট। ভেতরে সর্বোচ্চ সাতজন মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের পূর্বদিকে তিন ফুট উচ্চতার একটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। ভেতরে ছোট্ট একটি মেহরাব এবং কোণায় নকশা করা কারুকাজ এখনও চোখে পড়ার মতো। বাহিরের দেয়ালে পোড়া ইটের ক্ষয় দেখা গেলেও ভেতরের গম্বুজ ও ইটের গঠন এখনও মজবুত এবং দৃষ্টিনন্দন। কোনো নামফলক বা শিলালিপি না থাকায় এর নির্মাণকাল ও নির্মাতার পরিচয় নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের ধারণা, এটি মুঘল আমলের একটি নিদর্শন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুঘল আমলের স্থাপত্য নিদর্শন:

বগুড়ায় সবুজের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ৫০০ বছরের প্রাচীন আলিয়া মসজিদ

আপডেট সময় ১০:২২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের হাজারকি গ্রামে সবুজ-শ্যামল গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় পাঁচশ’ বছরের প্রাচীন এক মসজিদ। স্থানীয়ভাবে আলিয়া মসজিদ নামে পরিচিত এই স্থাপনাটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে এখনও টিকে আছে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এই মসজিদটি আবিষ্কৃত হয় প্রায় ২৫ বছর আগে। স্থানীয়দের ভাষ্য, হাজারকি গ্রামের পূর্বপাশে পরিত্যক্ত আলিয়া পুকুরপাড়ে জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় মসজিদটির অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। এরপর থেকেই এটি স্থানীয়দের আগ্রহ এবং দর্শনার্থীদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। মাত্র ১৩ ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বিশিষ্ট এই মসজিদের উচ্চতা প্রায় ২২ ফুট। ভেতরে সর্বোচ্চ সাতজন মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের পূর্বদিকে তিন ফুট উচ্চতার একটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। ভেতরে ছোট্ট একটি মেহরাব এবং কোণায় নকশা করা কারুকাজ এখনও চোখে পড়ার মতো। বাহিরের দেয়ালে পোড়া ইটের ক্ষয় দেখা গেলেও ভেতরের গম্বুজ ও ইটের গঠন এখনও মজবুত এবং দৃষ্টিনন্দন। কোনো নামফলক বা শিলালিপি না থাকায় এর নির্মাণকাল ও নির্মাতার পরিচয় নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের ধারণা, এটি মুঘল আমলের একটি নিদর্শন।