ঢাকা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় গণধর্ষণ মামলায় তিন আসামি গ্রেফতার, একজন পলাতক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:০০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৪১ বার পড়া হয়েছে

ভোলার মনপুরায় চর কলাতলী ৪নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীরের খাল এলাকার গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার অপর এক আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত (২ সেপ্টেম্বর) রাতে মনপুরার ৫নং কলাতলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর খাল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, আমার স্বামী চাকরির সুবাধে ঢাকায় থাকায় আমি শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একা ছিলাম। রাত আনুমানিক নয়টার দিকে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে আমাকে বলে আপনার মোবাইলে ৫০ টাকা গেছে টাকাটা ফেরত দেন, আমি মোবাইলের ব্যালেন্স চেক করে দেখি কোন টাকা আসেনি তাকে এ কথা বললেও সে একাধিকবার ফোন দেয়। পরে রাত দেড়টা থেকে ২ টার ভিতরে আমার ঘরের বেড়ার রশি কেটে ঘরের ঢুকে আমার তিন বছরের ছেলের গলায় চুরি ধরে দুজন আমার মুখ এবং হাত চেপে ধরে এরপর পালাক্রমে তারা আমাকে ধর্ষণ করে। তারা হলো রুবেল (২৯), পিতা মৃত খোরশেদ আলম, নাহিদ পাটোয়ারী (২৫), পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী,সাব্বির হোসেন ওরফে জিহাদ (১৯), পিতা মোঃ সালাহ উদ্দিন সওদাগর ও সজিব(২৫)।

ঘটনার পর (৪ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী মনপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর অধীনে মামলা (নং-০৩) দায়ের করেন।

পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন-
রুবেল (২৯), পিতা মৃত খোরশেদ আলম
নাহিদ পাটোয়ারী (২৫), পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী
সাব্বির হোসেন ওরফে জিহাদ (১৯), পিতা মোঃ সালাহ উদ্দিন সওদাগর। তিনজনই মনপুরার ৫নং কলাতলী ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আহসান কবির। তার সঙ্গে ছিলেন কলাতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইকবাল।

এ বিষয়ে ওসি আহসান কবির বলেন, ‘চার যুবক মিলে এক নারীকে গণধর্ষণ করে। থানায় মামলা হওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। পলাতক আসামিকে দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে। আমি নিজেই এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটের জেলা প্রশাসককে আদালতের শোকজ

ভোলায় গণধর্ষণ মামলায় তিন আসামি গ্রেফতার, একজন পলাতক

আপডেট সময় ১১:০০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলার মনপুরায় চর কলাতলী ৪নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীরের খাল এলাকার গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার অপর এক আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত (২ সেপ্টেম্বর) রাতে মনপুরার ৫নং কলাতলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর খাল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, আমার স্বামী চাকরির সুবাধে ঢাকায় থাকায় আমি শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একা ছিলাম। রাত আনুমানিক নয়টার দিকে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে আমাকে বলে আপনার মোবাইলে ৫০ টাকা গেছে টাকাটা ফেরত দেন, আমি মোবাইলের ব্যালেন্স চেক করে দেখি কোন টাকা আসেনি তাকে এ কথা বললেও সে একাধিকবার ফোন দেয়। পরে রাত দেড়টা থেকে ২ টার ভিতরে আমার ঘরের বেড়ার রশি কেটে ঘরের ঢুকে আমার তিন বছরের ছেলের গলায় চুরি ধরে দুজন আমার মুখ এবং হাত চেপে ধরে এরপর পালাক্রমে তারা আমাকে ধর্ষণ করে। তারা হলো রুবেল (২৯), পিতা মৃত খোরশেদ আলম, নাহিদ পাটোয়ারী (২৫), পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী,সাব্বির হোসেন ওরফে জিহাদ (১৯), পিতা মোঃ সালাহ উদ্দিন সওদাগর ও সজিব(২৫)।

ঘটনার পর (৪ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী মনপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর অধীনে মামলা (নং-০৩) দায়ের করেন।

পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন-
রুবেল (২৯), পিতা মৃত খোরশেদ আলম
নাহিদ পাটোয়ারী (২৫), পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী
সাব্বির হোসেন ওরফে জিহাদ (১৯), পিতা মোঃ সালাহ উদ্দিন সওদাগর। তিনজনই মনপুরার ৫নং কলাতলী ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আহসান কবির। তার সঙ্গে ছিলেন কলাতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইকবাল।

এ বিষয়ে ওসি আহসান কবির বলেন, ‘চার যুবক মিলে এক নারীকে গণধর্ষণ করে। থানায় মামলা হওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। পলাতক আসামিকে দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে। আমি নিজেই এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।’