ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“অর্থ সংকটে অসহায় মা: নিজের কন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ার ঝুঁকি”

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৩ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরের জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক মা চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন। অভাব-অনটন, ঋণের পাহাড়চাপ এবং দেনাদারদের লাগাতার হুমকি পুরো পরিবারকে দিশেহারা করে তুলেছে। পরিস্থিতি এতটা কঠিন যে তিনি এক মেয়েকে বিক্রি করার মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, স্বামী রুবেল সরদার স্থানীয় একটি বেকারিতে কাজ করতেন। কিন্তু ব্যবসায়িক লেনদেনের জটিলতায় তিনি প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছেন। দেনাদারদের চাপ, ভয়ভীতি ও অপমান প্রতিদিন পরিবারটিকে অস্থির করে তুলছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার তিন মেয়ে মানসুরা, মাইমুনা ও মরিয়মকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। কিন্তু আর্থিক সংকটে খাবার জোগাড় করাও কঠিন হয়ে গেছে। অনেক দিন অর্ধেক খেয়ে দিন পার করছি। দেনাদারদের চাপে বাধ্য হয়ে এক মেয়েকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি চাই না সন্তানদের থেকে আলাদা হতে। তাই সমাজের সচ্ছল ও হৃদয়বান মানুষদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছি।’

রুবেল সরদারও বলেন, ‘দেনাদারদের ভয়ভীতি প্রতিদিন আমাদের অস্থির করে তুলছে। এখন সমাজের দয়ালু ও সহানুভূতিশীল মানুষ ছাড়া বাঁচার কোনো পথ নেই।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার খান জানান, ‘পরিবারটির অসহায়তার খবর পেয়ে আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছি। সরকারিভাবে ও সামাজিকভাবে সাহায্যের চেষ্টা করছি। সমাজের সবাই একসাথে এগিয়ে এলে পরিবারটি অন্তত স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারবে।’

বর্তমানে মানবিক সহায়তা ছাড়া এই পরিবারটির সামনে কোনো পথ খোলা নেই। স্থানীয় সমাজ ও দেশের হৃদয়বান মানুষের সহযোগিতাই তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা।

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসুর ভিপি-জিএস হিসেবে যেসব সুবিধা পাবেন সাদিক-ফরহাদ

“অর্থ সংকটে অসহায় মা: নিজের কন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ার ঝুঁকি”

আপডেট সময় ০৮:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শরীয়তপুরের জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক মা চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন। অভাব-অনটন, ঋণের পাহাড়চাপ এবং দেনাদারদের লাগাতার হুমকি পুরো পরিবারকে দিশেহারা করে তুলেছে। পরিস্থিতি এতটা কঠিন যে তিনি এক মেয়েকে বিক্রি করার মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, স্বামী রুবেল সরদার স্থানীয় একটি বেকারিতে কাজ করতেন। কিন্তু ব্যবসায়িক লেনদেনের জটিলতায় তিনি প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছেন। দেনাদারদের চাপ, ভয়ভীতি ও অপমান প্রতিদিন পরিবারটিকে অস্থির করে তুলছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার তিন মেয়ে মানসুরা, মাইমুনা ও মরিয়মকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। কিন্তু আর্থিক সংকটে খাবার জোগাড় করাও কঠিন হয়ে গেছে। অনেক দিন অর্ধেক খেয়ে দিন পার করছি। দেনাদারদের চাপে বাধ্য হয়ে এক মেয়েকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি চাই না সন্তানদের থেকে আলাদা হতে। তাই সমাজের সচ্ছল ও হৃদয়বান মানুষদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছি।’

রুবেল সরদারও বলেন, ‘দেনাদারদের ভয়ভীতি প্রতিদিন আমাদের অস্থির করে তুলছে। এখন সমাজের দয়ালু ও সহানুভূতিশীল মানুষ ছাড়া বাঁচার কোনো পথ নেই।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার খান জানান, ‘পরিবারটির অসহায়তার খবর পেয়ে আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছি। সরকারিভাবে ও সামাজিকভাবে সাহায্যের চেষ্টা করছি। সমাজের সবাই একসাথে এগিয়ে এলে পরিবারটি অন্তত স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারবে।’

বর্তমানে মানবিক সহায়তা ছাড়া এই পরিবারটির সামনে কোনো পথ খোলা নেই। স্থানীয় সমাজ ও দেশের হৃদয়বান মানুষের সহযোগিতাই তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা।